অন্যান্যঅর্থনীতিকৃষি ও শিল্পজাতীয়

কালঘোষার বাঁকাকুড়ায় সেতু নির্মাণ, হাজারো মানুষের কষ্টের অবসান

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর বাঁকাকুড়ায় দ্রুত এগিয়ে চলছে সেতু নির্মান কাজ। এ সেতুটি নির্মিত হওয়ায় ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরনের পাশাপাশি দুর্ভোগের অবসান হবে। ইতিমধ্যেই ৮০ভাগ সেতু নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি ২০ ভাগ এক মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী আকরাম হোসেন।

জানা গেছে, গান্দিগাও – বাকাকুড়া রাস্তার পূর্ব বাঁকাকুড়া কালঘোষা নদী পারি দিয়ে গান্দিগাঁও, ডেফলাই, ভালুকা, ফুলহাড়ি, নকশী, হালচাটি গজনী, বাঁকাকুড়া, হালচাটি, পানবর, আয়নাপুর, নাচনমহুরি ও ধানশাইলসহ ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি উঠে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় আশ্বাস ও পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ নদীর উপর একটি সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় শতশত মানুষের। জানা যায়, ১৫ গ্রামের মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘবে অবশেষে ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বিশ্বব্যাংকের প্রায় ৭ কোটি টাকায় এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার ও নিয়োগ দেয়া হয়।

শেরপুরের আক্রাম এন্টারপ্রাইজ কাজটি পান। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য কে এম ফজলুল হক চাঁন সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, দ্রুত এগিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। এক মাসের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন সেতুটি নির্মিত হওয়ায় হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরন, যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে ঘটবে বিপ্লব।