অন্যান্যআন্তর্জাতিকজাতীয়রাজনীতি

কিশোরগঞ্জে এই প্রথম সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের নামে মামলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জে এই প্রথম সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার তহমুল ইসলাম মাজহারুল (২৭) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। তহমুল ইসলাম মাজহারুল কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, তিনি বিএনপির একজন কর্মী। আন্দোলনের সময় তিনি আহত হয়েছিলেন। ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় এ মামলার বাদী তহমুল ইসলাম মাজহারুল (২৭) নামের এক যুবক।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় চার হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে। এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হলো। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে, ২ নম্বরে আছেন শেখ রেহানা। ৩ নাম্বারে সাবেক রাষ্টপতি আবদুল হামিদ, ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়কে। ৫ নম্বর আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ৬ নম্বর আসামি রাদওয়ান সিদ্দিক ববি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাসান মাহমুদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, আলী আরাফাত, শামীম ওসমান, নাজমুল হাসান পাপনসহ ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তাঁরা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য কতক আসামিদের নির্দেশ দেন।
ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।মামলার বাদী তহমুল ইসলাম মাজহারুল বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করা হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।