গারো পাহাড়ের তীর্থ উৎসবে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা- পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :শেরপুরের গারো পাহাড়ে বারোমারিতে ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হবে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহি ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী পাহাড়ে সাধু লিওর ধর্মপল্লিতে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের বৃহৎ এই উৎসবকে সামনে রেখে বৃহত্তর ময়মনসিংহের খ্রিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মাঝে উচ্ছ্বাস বইছে। দেশি বিদেশি হাজার হাজার পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণে এই উৎসব উপলক্ষ্যে তীর্থস্থানটি বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।
এ উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম ওই এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। মতবিনিময় করছেন আয়োজকদের সাথে। এসময় তিনি জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এ উৎসবকে সম্পন্ন করতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে ৩০০ এপিবিএন পুলিশসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। টহলে থাকবে র্যাব, পুলিশসহ অন্যরা। এতে আস্বস্ত হয়েছে আয়োজকরা। অনুষ্ঠানের আভ্যন্তরিন কাজ করতে আয়োজকগনও নিজস্ব কর্মী নিয়োগ করেছে।
এদিকে আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ঢাকা ধর্ম মহাপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত গমেজ।
উল্লেখ্য ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারীতে প্রায় ৪২ একর উঁচু পাহাড়ি ভূমিতে প্রতিষ্ঠা হয় বারমারী ধর্মপল্লীটি। এই স্থানটি খ্রিষ্ট ভক্তদের জন্য একটি ধর্মীয় পবিত্র স্থান। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখানে ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দেশবিদেশের পুণ্যার্থী সহ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় লাখো মানুষের আগমন ঘটে এই তীর্থোৎসবে।
তীর্থোৎসবের সমন্বয়কারী রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি বলেন, ‘বারোমারী পাহাড়ে অবস্থিত সাধু লিওর ধর্মপল্লী একটি ঐতিহাসিক তীর্থভূমি। দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ ধর্মীয় চেতনায় ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবে অংশগ্রহণ করেন। তীর্থোৎসবকে ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছেন।’