অন্যান্যঅর্থনীতিজাতীয়

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমবায় সমিতি: বিক্ষোভ সমাবেশ

জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মাদারগঞ্জে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় ৩০হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায়১৫ হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করে উধাও হয়ে গেছে বেশকিছু সমবায় সমিতি। এতে সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা গ্রাহকরা। দিশেহারা গ্রাহকরা টাকা ফেরত দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভোক্তভোগী গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার(৪ফেব্রুয়ারি)মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানায়, উপজেলা সমবায় কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলায় আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি, শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতি, স্বদেশ বহুমুখী সমবায় সমিতি, নবদ্বীপ বহুমুখী সমবায় সমিতি, জনতা শ্রমজীবী সমবায় সমিতিসহ প্রায় ২০টির মতো সমিতি মাদারগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩০হাজার গ্রাহকের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার আমানত জমা রাখেন। গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রাখেন আল-আকাবা এবং শতদল বহুমুখী সমিতিতে। শুরুর দিকে সমিতি গুলো গ্রাহকদের মুনাফা দিলেও বর্তমানে ওই সমিতির মালিকরা টাকা নিয়ে অফিস বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এতে সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই।

মঙ্গলবার ভোক্তভোগীরা শহরের বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলার পরিষদ ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের সহায়ক কমিটির আহ্বায়ক শিপলুল বারী, মো: শফিকুল ইসলাম, সোনা মিয়া, দিদারুল আলম মিন্টুসহ অন্যান্য গ্রাহকরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, ভিক্ষুক থেকে শুরু করে প্রবাসী, অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী, ছাত্র-শিক্ষক, গৃহিনী, স্কুল-মাদ্রাসা-মসজিদের তহবিলসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ তাদের সর্বস্ব অর্থ এসব সমবায় সমিতিতে আমানত হিসেবে রাখে। শুরুর দিকে কিছু মুনাফা দিলেও গেলো কয়েক বছর ধরে কোন কিছুই দিচ্ছেনা,বার বার আমানতের টাকা ফেরত চাইলেও টালবাহানা করছে। অনেকেই টাকা না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে, অনেক নারীর সংসার ভেঙ্গে গেছে, সমবায় সমিতিতে টাকা জমা থাকলেও অর্থাভাবে অনেক মানুষ চিকিৎসা করাতে পারছেনা। সমবায় সমিতিতে নিজের আমানতকৃত অর্থ ফেরতে পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও রহস্যজনক কারনণ কোন সহায়তা করছে না, উল্টো অর্থ আত্মসাতকৃত সমবায় সমিতির পক্ষেই কাজ করছে তারা। তাই গ্রাহকরা প্রশাসনের নিকট তাদের আমানতের টাকা দ্রুত ফেরত পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি জানান।