চাতাল শ্রমিক সামিউল হত্যার তীব্র নিন্দা এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবী সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের
গণসাংস্কৃতিক সংগঠন সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ এক বিবৃতিতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাকতা মাজমতলী গ্রামে সরকার অটো রাইস মিলের (চাতাল) মালিক ও তার ছেলে শরীফ মিয়া কর্তৃক শ্রমিক সামিউল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে। ০৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখের এক বিবৃতিতে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সংগঠকবৃন্দ বলেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার সামিউল ইসলাম দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবত ফুলবাড়ীয়ার সরকার রাইস মিলে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৯ মার্চ রাতে আসন্ন ঈদ উল ফিতরের বেতন বোনাস এর দাবী করলে মালিক পক্ষের লোকজন সামিউলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সামিউল গালিগালাজের প্রতিবাদ জানান। এতে মিল মালিকের পুত্র শরীফ মিয়া স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে গুদাম ঘরে নিয়ে হাত পা বেঁধে সামিউলের উপর রাতভর শারীরিক নির্যাতন চালায়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সামিউলের পা ও কোমর ভেঙে ফেলে। পরেরদিন পরিবারের লোকজন মিলে এসে আকুতি জানালে মালিকপক্ষ হাত পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন সামিউলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করে। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় সামিউল মারা যান। হাসপাতালে থাকাবস্থায় সামিউল তার উপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন যা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সংগঠকবৃন্দ বলেন, কোন শ্রমিক ঈদ উপলক্ষে প্রাপ্য বোনাস ও বেতন চাইলে তার উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করার এখতিয়ার মালিক পক্ষ রাখে না। তাই এ ধরণের হত্যাকান্ড চলতে পারে না। সংগঠকবৃন্দ অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে যথাযথ বিচারের সম্মূখীন করার দাবী এবং নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জোর দাবী জানান।