আন্তর্জাতিক

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ১৩১

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। বলা হচ্ছে, গত ১৩ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ২০১০ সালের পর দেশটিতে সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির গানসু প্রদেশে সোমবার মধ্যরাতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে যে এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে সেখানে গত মঙ্গলবারের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮.৭ ফারেনহাইট)। চীনের উত্তরাঞ্চলের একটি বড় অংশজুড়েই এখন হাড় কাঁপানো শীত বিরাজ করছে। এই তীব্র শীতের মধ্যেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের সময় প্রতিবেশী কিনঘাই এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে দেশটির কিংহাই প্রদেশের ইউশুতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দুই হাজার ৭০০ জন নিহত হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশেও ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে নিহত হন ৬৬ জন। চীনে ভূমিকম্প একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। প্রায়ই বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট-বড় ভূমিকম্প আঘাত হানছে। এদিকে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী জিনজিয়াংয়ে অপর একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। তবে ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গানসু প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সেখানে পুরোদমে উদ্ধার-অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের একটি দরিদ্র অঞ্চল গানসু। ওই প্রদেশের জিশিশান কাউন্টি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে ৫ হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া কিনহাই প্রদেশে এখনও ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এফএনএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *