ছেলেমেয়েদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছি না ঃঃ করোনায় বাঁশ বেতের কারিগরদের দুর্দিন
হোসেনপুর প্রতিনিধি :
লাগামহীন করোনা ও লকডাউনের প্রভাবে বাঁশ বেতের কারিগরদের দুর্দিন দেখা দিয়েছে। পরিবারের একমুঠো অন্ন যোগাতে কিছু কারিগর লকডাউনের মধ্যে বাঁশ বেত দিয়ে খাঁচা তৈরি করলেও বাজারে ক্রেতা না থাকায় তা বিক্রি করতে পারছে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছে বিপাকে। পরিবারগুলোতে চলছে হাহাকার।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ধুলজুরী এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা যায় এ করুণ দৃশ্য। বাঁশ বেতের কারিগর খোকন মিয়া। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। জন্মের পর থেকে পারিবারিক ভাবে এ পেশায় জীবন শুরু তার। পরিবারের অন্য সদস্যরা বাঁশ বেতের কাজের সাথে জড়িত।
খোকন মিয়া জানান, আমাগো খাঁচা ও টুরকি তৈরি করলেও সরকারের দেয়া লকডাউনে পড়ে ক্রেতার অভাবে বাজারে তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে দিনানিপাত করছি।
একই এলাকার কারিগর রুবেল মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, লকডাউনের পূর্বে বাঁশ বেত দিয়ে খাঁচা ও টুরকি তৈরি করে বেশ ভালোই চলছিলো সংসার, কিন্তু বাজারে তা বিক্রি করতে না পারায় আমাদের হাতে টাকা নাই, বাজার না থাকায় ঘরে খাবার নেই। ছেলেমেয়েগুলোর মুখে খাবার তুলে দিতে পারছি না।
হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন মানিক জানান, সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাঁশ বেতের কারিগরদের মধ্যে বন্টন করা হবে।