টিসিবি মালে হাহাকারঃ ওএমএস দিচ্ছে ৫ কেজি চাল!
রবীন্দ্রনাথ পালঃ চাহিদার তুলনায় অনেক কম সরবরাহ করায় টিসিবির তেল,চিনি ও ডাল নিয়ে হাহাকার চলছে। বাজারে বোতলজাত তেল ১৪৫ টাকা,চিনি ৭০ টাকাও ডাল ৯০ টাকা বিক্রি এবং বাজারে পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় সব শ্রেনী পেশার মানুষ টিসিবির গাড়ী দেখলেই ভিড় করছে।
সূত্র জানায়, সদরে ৯০/৯৫ জন ডিলার অাছে টিসিবির। তবে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ৮/১০ জন ডিলারের মাধ্যমে মাল দেয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। একজন ডিলারকে
মাত্র ১ হাজার লিটার সয়াবিন, ৭শ কেজি চিনি ও ৩শ কেজি মশুরের ডাল দেয়া হয়।
গত ১০ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে টিসিবির ডিলার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান টিপু মাল নিয়ে বিলি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। অল্প মাল। অথচ শতশত মানুষের ভিড়। করোনাকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।
ভিড়ে ধাক্কা ধাক্কি করে কে কার অাগে মাল নিবে এই নিয়ে মারামারির উপক্রম। অবস্থা এমন পারলে মানুষ গাড়ীতে উঠে মাল ছিনিয়ে নিবে। এত অল্প মাল নিয়ে কিভাবে শতশত মানুষের ভিড় সামাল দিবেন, জানতে চাইলে ডিলার হাফিজুর রহমান টিপু বলেন,যতক্ষণ মাল অাছে, ততক্ষণে দিবো। তবে সামান্য মাল এক/দেড় ঘন্টায় শেষ হয়ে যায়। তারপর মানুষের গালিগালাজ শুনতে হয়। তিনি জানান, প্রতিদিন প্রতিটি গাড়াীতে কমপক্ষে ২৫০০ লিটার তেল,১৫০০ কেজি চিনি ও ৬ শ কেজি ডাল দিলে মানুষকে দেয়া যেতো। এত কম মালে মানুষ সামলানোই কঠিন। তিনি টিসিবির মাল বাড়ানোর দাবী জানান।
অপরদিকে ওএমএস সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে মাত্র ১৬ জন ডিলারের মাধ্যমে মোট ১৫ টন চাল ও অাটা দিচ্ছে। কাউকেই ৫ কেজির বেশী চাল বা অাটা দেয়া হচ্ছে না। ৪/৫ জনের একটি পরিবার ৫ কেজি চালে কয়দিন চলবে – সেটাই প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শনিবার দুপুরে এ প্রতিনিধিকে ফোনে জানান, সরকারের যেমন নির্দেশ অাছে, সেভাবেই ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে সপ্তাহে ৬ দিন দেয়া হচ্ছে। তবে তিনি বেশী চাহিদার কথা স্বীকার করে জানান, উচ্চমহলে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ও মাল বাড়ানোর চাপ অাছে। অামরা অাশা করবো, সরকার টিসিবির মালের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি ওএমএস এর চাল ও অাটা সরবরাহের পরিমান দ্রত বৃদ্ধি করে এই দুর্যোগের সময় সাধারন মানুষকে একটু স্বস্তি দিবেন।