ধর্মপাশায় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির আয়োজনে অধ্যাপিকা হামিদা রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী পালন
নারী আন্দোলনের অগ্রপথিক,গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপিকা হামিদা রহমান এঁর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি আয়োজনে গত ১৪ আগষ্ট এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় নারী নেত্রী বকুল বেগম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির ধর্মপাশা উপজেলার সভাপতি খায়রুল বসর ঠাকুর,জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) এর উপজেলা সভাপতি নুর উদ্দিন, নারীনেত্রী এলকে মুক্তা,জেরিন আক্তার, নওশিন জাহান মিলি,তাহমিনা সুলতানা,লিমা, তামান্না,রুমা আক্তার প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ফিরোজ আহমেদ,মোফাজ্জল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই নারী নেত্রী অধ্যাপিকা হামিদা রহমান এঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় বক্তাগণ বলেন,সাম্রাজ্যবাদ,সামন্তবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী অধ্যাপিকা হামিদা রহমান প্রগতিশীল ধারার নারী সংগঠন সংগ্রামে সক্রিয় ও নেতৃত্বকারী ভূমিকা গ্রহণ করেন।১৯৯৪ সালের ৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি গঠনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করেন।
নারী মুক্তির লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদ -সামন্তবাদ ও তাদের এ দেশীয় দালাল আমলা মুৎসুদ্দি লগ্নিপুঁজির নির্মম শোষণ লুন্ঠন এবং তাদের স্বার্থরক্ষাকারী সরকারের স্বৈরাচারী শাসন পীড়ন ও প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক সমাজ রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা করে শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অধ্যাপিকা হামিদা রহমান এর এই মতাদর্শ ও রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং বিপ্লবী বিকল্প ধারাকে অগ্রসর করার জন্য গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পতাকাতলে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি