নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি পেতে হবে: শেখ হাসিনা
নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের একদিন উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে, আমরা সেটা মেনে নেব না। মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ পারে নাই, বিজয় আমরা অর্জন করেছি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিজয়ও অর্জন করে তাদের দেখাব যে আমরা পারি। বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে। মানুষ হত্যা শুরু করেছে। রেল লাইনে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়। এই সহিংসতা আমাদের বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনগণের অধিকার নির্বাচনের অধিকার। ভোটের অধিকার। আমরা ভোট ও ভাতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আর এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাব। পদ্মা সেতু নির্মাণে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু আমরা তৈরি করেছি। এই পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র, অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল, দুর্নীতির অপবাদ দিতে চেয়েছিল। চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম যে দুর্নীতি প্রমাণ করো। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পারে নাই। কোনো দুর্নীতি এখানে হয় নাই। শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন কথা দিয়েছিলাম নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। আজকে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করে বিশ্বকে আমরা দেখিয়েছি কেউ দাবায় রাখাতে পারবে না। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণে যে কথা ছিল, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। তাই কেউ দাবায় রাখতে পারিনি আর পারবে না।
তরুণ সমাজের উদ্দেশে প্রথমবারের ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমবারের ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। নতুন ভোটার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আজকের আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নে পথে এগিয়ে যাওয়ার সাহায্য করতে হবে। কারণ, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি -সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। এছাড়া গত ১৫ বছরের নানা উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে দেশবাসীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, অহিদুল ইসলাম হাজরাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেন। জনসভায় সঞ্চালক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নার হোসেন শেখ।
স্মার্ট তরুণ সমাজ গড়ে তুলতে চাই: এদিকে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। আমরা সেই তারুণ্যকেই স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে চাই। কারণ আমাদের লক্ষ্য আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবদিকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো। একটা স্মার্ট পপুলেশন, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট, আমাদের ইকোনমি হবে স্মার্ট, আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট। তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় এ দেশের জনগণ যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে। আর আজকের তরুণরাই হবে ২০৪১ সালের সৈনিক। তারাই চালাবে এই দেশ। সেভাবেই নিজেদের তৈরি করে তুলতে হবে। নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা এবার প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছে তাদের আমি অনুরোধ করবো, নৌকা মার্কায় ভোট দিতে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে। এটাই আমাদের লক্ষ্য। এসময় তিনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাদারীপুরে আমাদের যারা প্রার্থী তাদের ভোট দেবেন। আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কারণ, নৌকাই উন্নয়ন, নৌকাই দেবে সব। নৌকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এই নৌকা নূহু নবীর নৌকা। যে নৌকা মহাপ্লাবন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই নৌকাই বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার।
কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মÐলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
এফএনএস
wmxifg
We review the descriptive epidemiology of the disease, focusing on some of the key elements of the geographical and temporal variations in incidence and mortality in each world region priligy sg Washout of furosemide resulted in a recovery of pH lum Fig