আন্তর্জাতিকজাতীয়

বেতন বকেয়া রেখে ছুটি ঘোষণা ;শ্রমিকদের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার:ময়মনসিংহের ভালুকায় বেতন না দিয়ে একটি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করায় শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ । ময়মনসিংহের ভালুকায় পৌরসভার কাঁঠালী এলাকায় ‘রোর ফ্যাশন লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকরা সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিট থেকে দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ কর বিক্ষোভ করেন।

এ সময় ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

রোর ফ্যাশনের শ্রমিকরা জানান, কারখানাটিতে শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মী মিলে ১ হাজার ৩৫৭ জন কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ শ্রমিক বেতন পেলেও ৩২৭ জন অক্টোবর থেকে বেতন পাচ্ছেন না। শনিবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি। এমন অবস্থায় রোববার কারখানার সামনে নোটিস টাঙিয়ে ‘অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে কারখানার সামনে গিয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সকাল ৮টা ৫০ মিনিট থেকে ওই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে মহাসড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেন।

শিল্প পুলিশের এসপি মিজানুর রহমান বলেন, “সড়ক অবরোধ করে সমস্যা সমাধান হবে না। আমরা আজই মালিক পক্ষকে ডেকে এনে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। শ্রমিকদের এই আশ্বাস দেওয়ার পর তারা সড়ক থেকে সরে গেছে।”
ভালুকা মডেল থানার ওসি শামছুল হুদা খান বলেন, “রোর ফ্যাশন নামে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কারও তিন মাস, কারও দুই মাস, কারও একমাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। অনিবার্য কারণ বশত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হইল এই নোটিস দেখে শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে অবস্থান নেয়। কিন্তু কারখানাটি বন্ধ ছিলো। পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সব সংস্থা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।”

বকেয়া বেতন প্রসঙ্গে রোর ফ্যাশন লিমিটেডের আইটি বিভাগের প্রধান ফরহাদ আহমেদ বলেন, “কারখানার মালিকের নাম মামুনুল ইসলাম। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের লেনদেন হতো। ৫ অগাস্টের পর আমরা ব্যাংক থেকে তেমন সাপোর্ট পাচ্ছি না। এক মাসের বেতন নিয়ে সমস্যা হয়েছে, সেটি সমাধানের চেষ্টাও চলছে।”