অন্যান্য

ব্রহ্মপুত্রে প্রাণ ফিরিয়ে আনার দাবি মাঝি-জেলেসহ নিম্ন আয়ের মানুষের

স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহ শহরের গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে মৃতপ্রায় ক্ষীণকায় ব্রহ্মপুত্র নদ। এক সময় যার উত্তাল ঢেউয়ের বুকের পরে এ অঞ্চলের মানুষ জীবন চালাতো। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদ মৃতপ্রায় হওয়ায় তাঁর বুকে আজ আর আগের মতো উড়ে না পাল তোলা নৌকা ,জেলেদের তেমন আর মাছ মারতে দেখা যায় না। মাঝি,জেলে এ ধরনের পেশা থেকে অনেকেই বের হয়ে গেছে। মরা ব্রহ্মপুত্র তার বুকে আর ধরে রাখতে পারে নি এদের।

ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝি মন্টু মিয়া তিনি ভ্রমণ পিপাসুদের নৌকায় ঘুরিয়ে জীবিকা নির্বাাহ করে থাকেন। প্রতিদিনই তাকে দেখা যায়, জয়নুল আবেদীন পার্ক ঘেষা নদের ঘাটে। এপার থেকে ওপারে পার করতে প্রতিজনে নিয়ে থাকেন ১০ টাকা কখনও কখনও ২০ টাকা আর কেউ যদি দীর্ঘক্ষণ ঘুরে তাহলে তাদের কাছ থেকে শত টাকার মতো নিয়ে থাকেন। এখানে তিনি একদশক ধরে এই কাজটি করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন তার আয় হয়ে থাকে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকার মতো। শুধু মন্টু মিয়াই নয় সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম মন্টু মিয়ার মতো আরও প্রায় ২০ টি পাল তোলা নৌকা রয়েছে। তারাও ঠিক একইভাবে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু এখন তারা হুমকির মুখে পড়েছেন।

মাঝি মন্টু মিয়া জানান, এখন নদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ভ্রমণ যাত্রি কম হচ্ছে। ভ্রমণ পিপাসুরা ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কম থাকায় তার তীর ঘেঁষে হেঁটে বেড়ান কিন্তু কেউ আর আগের মতো নৌকায় চড়ে বেড়ায় না। যার কারণে এখন আমাদের উপার্জনটাও অর্ধেক হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে জিনিসপত্রের যে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে আয় না হওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টেসৃষ্টে চলতে হয়। এরকম আরো প্রায় শতাধিক পরিবারের আয়ের উৎস মরা ব্রহ্মপুত্র হওয়ায় আয় কমে পরিবারগুলোতে আর্থিক সংকট বাড়ছে।

খননের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রে প্রাণ ফিরে আসে নি কেন। এমন প্রশ্নও চলছে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে। ব্রহ্মপুত্রে প্রাণ ফিরে আসলে উদ্দীপ্ত হবে মাঝি, জেলেসহ ব্রহ্মপুত্রের বুকে বসবাস করা নি¤œ আয়ের মানুষ। তাই ব্রহ্মপুত্রে প্রাণ ফিরিয়ে আনার দাবি এদের।