ভাঙ্গনের আশংকায় ঝিনাই নদীর ওয়াপদা বাঁধ, ব্যাপক ফসল, জান মাল ক্ষতির আশংকা
ভাঙ্গনের আশংকা ওয়াপদা বাধ, ব্যাপক ফসল জান মাল ক্ষতির আশংকা
মতিউর রহমান,সরিষাবাড়ীঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৬ নং ভাটারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম মাগুরিয়া পাড়া। এ গ্রামের পশ্চিম পাশ ঘেষে বয়ে গেছে খরস্রোতা ঝিনাই নদী। গ্রামটির পূর্ব ও উত্তরে সরিষাবাড়ী পৌর সীমানা দক্ষিনে মহাদান ইউনিয়নের সীমানা। বিচ্ছিন্ন এ গ্রামটিতে একাধিক আইনজ্ঞ, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ারসহ অনেক সরকারী বেসরকারী ও ব্যবসায়ী মানুষের বসবাস।
এ গ্রাম পূর্ব থেকেই ঐতিহ্য বহন করলেও লাগেনি তেমন কোন সরকারী উন্নয়ন ছোয়া। গ্রামের পশ্চিম পাশ ঘেসে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা ঝিনাই নদীর তীর প্রতি বছর বন্যায় অল্প অল্প ধ্বসে যায়। বর্তমানে ওশাপদা বাধটি সম্পূর্ণ ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম। ভারী বন্যা বা অতি বর্ষণে প্লাবন সৃষ্টি হলে অতি সহজেই ধ্বসে যাবে নদী তীর। এর ফলে অতিমাত্রায় বন্যার পানি সহজেই ঢুকে যাবে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে। বন্যার পানি প্রবেশের ফলে বাঙ্গালী পাড়া, চর বাঙ্গালী ঋষি পাড়া নাওগোলা কুটুরিয়া চক বাঙ্গালী মহাদান চন্দনপুর সহ অন্তত দশটি গ্রামের মানুষ চরম ক্ষতির মুখে পড়বে। এ সময় নদীতে পানি কমে যাওয়াও তীর মেরামতের মোক্ষম সময়। বন্যার আশংকাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। পৌরসভাস্থিত বাউসি হাট একমাত্র ভরসা এ গ্রামের মানুষের জন্য। প্রায় দুই সহাস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার বা জরুরী প্রয়োজনে এ রাস্তাটি একমাত্র ভরসা। অনেক স্কুল কলেজ পড়ূয়া শিক্ষার্থীও প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় স্কুল কলেজে যাতায়াত করে থাকে।
এ ছাড়াও বাউসি ঋষিপাড়া মাসুদ পিয়নের বাড়ীর পশ্চিম পাশে ঝিনাই নদীর তীর ভেঙ্গে পড়েছে প্রায় দশ বছর যাবৎ। লেখা লেখি করার ফলে সরকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করলেও অদ্যাবধি কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দুটি ভাঙ্গন এলাকা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে হতাশার হাত থেকে জান মাল ফসল রক্ষা করবে তেমনটি প্রত্যাশা সংশ্লষ্টি সরকারী মহলের নিকট স্থানীয় জনগণের।