ময়মনসিংহ সিটির বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর দাবীতে নাগরিক আন্দোলনের স্মারকলিপি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) নতুন হোল্ডিং এসেসমেন্টের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা হোল্ডিং মালিকরা বলেছেন অস্বাভাবিক, আর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বলেছে দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে এসেসমেন্ট না করার প্রেক্ষিতে আরোপিত ট্যাক্স বেশী মনে হয়েছে। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের তুলনায় অনেক কম হারে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য্য করা হয়েছে। অপরদিকে নাগরিকরা জানিয়েছেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হোক কিন্তু তা সহনীয় মাত্রায় করতে হবে। অস্বভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধিতে নাাগরিকরা দারুন উদ্বিগ্ন। এহেন অবস্থার প্রেক্ষিতে মসিক আরোপিত অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স একটি যৌক্তিক পর্যায়ে কমানোর দাবীতে মসিক মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদানসহ আলোচনার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৭ জুন সোমবার বিকেল ৪টায় মসিক শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত আলোচনায় জেলা নাগরিক আন্দোলনের সকল নির্বাহী সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম।
জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম জানান, সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে ট্যাক্স দেয়া প্রয়োজন এর ধারাবাহিকতায় ট্যাক্স বৃদ্ধিও পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ট্যাক্স যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি করতে হবে। নাগরিকরা যেন সহজেই ট্যাক্স দিতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জনবান্ধব মেয়রকে করতে হবে।
জনউদ্যোগ আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু জানান সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন ও নাগরিক স্বার্থ মেয়র ও কাউন্সিলরগণের বিবেচনায় আনতে হবে। বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স যৌক্তিক হারে কমিয়ে আনতে হবে। বর্তমানে ধার্যকৃত হোল্ডিং এসেসমেন্ট পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। আপত্তির ফরমের মুল্য ৬০০/- টাকা করায় নাগরিকগণ মনে করছেন এটি অযৌক্তিক এবং কেবলই বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্ধারিত হয়েছে। তাই আপত্তির ফরমের মুল্যটা সর্বোচ্চ ১০০/- টাকায় নিয়ে আনার আহবান জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম চুন্নু।
সুজন মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন জানান, নাগরিক নেতৃবৃন্দ মনে করেন জনবান্ধন মেয়র নগরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিবেন। করোনাকালে গোটা বিশ্ব যখন থমকে দাড়িয়েছে, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে, নিঃশ্বাস নিয়ে মানুষ বাঁচার জন্য দিকবিদিক শুন্যতায়, রাস্ট্র নাগরিকদের জীবন রক্ষার্থে হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়ে স্থবির অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের যারা দেশের নেতৃত্ব দিবে সেই কোমল মতি শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত নাগরিকগন হাত পাতার নক্সাটা নিয়ে ভাবছে। এ অবস্থা নিশ্চয়ই মেয়র এড়িয়ে যেতে পারেন না। নগর বাসীকে হতাশার গহব্বরের ঠেলে দিবেন না।