লকডাউন শিথিল হলেও শ্রমিকদের চাকুরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
সরকার ঘোষিত লকডাউন আরো শিথিল করে ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এর ফলে সকল ধরণের গণপরিবহন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। হোটেল রেঁস্তোরায় সীমিত পরিসরে বসে খাওয়া-দাওয়াও করা যাবে। প্রায় দেড় মাস ধরে এসব অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসার পর সরকারের এ ঘোষণায় তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্থির প্রকাশ ঘটে। একই সাথে তাদের মধ্যে আশংকাও ঘনীভুত হচ্ছে যে, তারা সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে স্বীয় পদে যোগদান করতে পারবে কি’না ? সীমিত পরিসরে এসব খাত খুলে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ায় মালিকরা হয়তো তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোদমে চালু করতে পারবে , কিন্তু শ্রমিকরা সবাই কি তাতে চাকুরির সুযোগ পাবে কিনা-এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। লকডাউনের পর লক্ষ লক্ষ শ্রমিক চাকুরিচ্যুত হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে । ইতিমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের নিয়মিত কর্মিদের কাজে যোগদান করতে নিষেধ করেছে। কিছুদিন পর যোগদানের কথা বলে মূলত: তাদের চাকুরিচ্যুত করার তৎপরতা মালিকদের রয়েছে । এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাপ তৈরি সহ সামগ্রিক অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার আশংকা থাকছে। তাই লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু হলেও শ্রমিকদের বিশেষত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের চাকুরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে কার্যকরী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।