শেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কলা বাগান কর্তন!
শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আছিয়া বেগম নামে এক বিধবা নারীর জমিতে রোপিত কলার বাগান কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ ও সতীনের ছেলে মোহাম্মদ আলী। স্থানীয়রা বলছেন, জমি সংক্রান্ত রিবোধ থাকলেও এভাবে কেউ ফলবান গাছ কাটতে পারেনা। এ কেমন বর্বতা? ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও খৈলকুড়া গ্রামের মৃত ছাদেক আলী কবিরাজের ২য় স্ত্রী আছিয়া বেগম জানান, গত প্রায় ৩৫-৪০ বছর পূর্বে তার স্বামীর নামীয় বাড়ী ভিটের জমি ছাড়াও ১একর ১৯ শতক জমি রেখে মারা যান। ওয়ারিশ হিসেবে ওই জমির মালিকরা হলেন, ছাদেক আলী কবিরাজ বড় স্ত্রীর ছেলে মোহাম্মদ আলী, ছোট স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তার মেয়ে ছাহেরা বেগম। সরকারি নিয়মনুযায়ী মৃত স্বামীর সম্পত্তির ২ আনি পাবে স্ত্রী আছিয়া বেগম। বাকি জমি হিস্যা মোতাবেক ছেলে মোহাম্মদ আলী পাবে ২ ভাগ এবং মেয়ে ছাহেরা বেগম পাবে ১ ভাগ। এই হিসাবমূলে ছাদেক আলী কবিরাজ দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়ে ১ একর ১৯ শতক জমি থেকে পাবে প্রায় ৫০ শতক। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদে বারংবার শালিস হলেও ছাদেক আলী কবিরাজের প্রথম পক্ষের একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ আলী হিস্যা মোতাবেক তার সৎমা ও সৎবোনকে জমি দিতে রাজি নন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীদের তোপের মুখে পড়ে সেখান থেকে সৎমা ও তার মেয়েকে কিছু জমি ছেড়ে দেয়। ওই জমিতে বিধবা আছিয়া বেগম ও মেয়ে ছাহেরা কলাগাছ রোপন করে। তাদের এ দখল প্রক্রিয়া সহ্য করতে না পেরে মোহাম্মদ আলী সন্ত্রাসী কায়দায় দা দিয়ে কূপিয়ে পুরো কলা বাগান কেটে সাবাড় করে দেয়। এ সময় দূর থেকে আছিয়া বেগম ও মেয়ে ছাহেরা বেগম নিরব দর্শক হয়ে দাগিয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা। কেননা এসময় এলাকাবাসী মোহাম্মদ আলীর এহেন কর্মকান্ডের কোন প্রকার প্রতিবাদ করেননি। অপরদিকে মোহাম্মদ আলীর আক্রমনের ভয়ে সৎমা ও সৎবোন মোহাম্মদ আলীর সামনে আসতে সাহস পায়নি। কেননা এসময় তাদেরকেও মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে জানান, “মোহাম্মদ আলী নিজেকে অনেক কিছু মনে করে। সে জমির কোন আইন মানবেনা। আইন নাকি তার পকেটে”।
এ ব্যাপারে মেহাম্মদ আলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিধবা নারী আছিয়া বেগম ও তার মেয়ে ছাহেরা বেগম এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।