“শ্রমিকদের চাকুরির হুমকি না দিয়ে মজুরি বৃদ্ধির দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন”
স্টাফ রিপোর্টার: আন্দোলেনের কারণে শ্রমিকদের চাকুরি চলে যাওয়ার হুমকির প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। শ্রমিকদের চাকুরির হুমকি না দিয়ে তাদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ লোকাল ও রেডিমেট গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলমান মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত হিসেবে তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের উচিত শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে সুবিবেচনায় নিয়ে বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য দ্রত সময়ে মজুরি নির্ধারণ করা। নতুন মজুরি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত মহার্ঘ্য ভাতা ও প্রতি কারখানায় কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। আজ ৭ জুন বিকাল ৫.৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ আহবান জানান বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত এবং ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম মানিক।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে দেশের অন্যান্য গরীব ও শ্রমজীবি মানুষের মত গার্মেন্টস শ্রমিকদেরও নাভিশ্বাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। লোকাল বা রেডিমেট গার্মেন্টস সেক্টরে নামেমাত্র যে মজুরি প্রদান করা হয় তা দিয়ে এক সপ্তাহও চলা সম্ভব হয় না। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ সরকার ও মালিক শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে সুবিবেচনায় না নিয়ে পুলিশ ও সন্ত্রাস দিয়ে শ্রমিকদের নির্যাতন করছে। মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রান করছে। কারখানায় কারখানায় গিয়ে শ্রমিকদের চিহ্নিত করে নির্যাতন ও হয়রানি করছে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেক শ্রমিক আহত হয়। নেতৃবৃন্দ এসমস্ত ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রেফতারকৃত সকল শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি এবং সকল প্রকার মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ করার আহবান জানান।
সমাবেশে লোকাল গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি সংগ্রাম পরিষদ ঘোষিত রেট মেনে নেয়ার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ। একই সাথে এই সেক্টরে মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি নির্ধারণের আহবান জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ নতুন মজুরি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত জরুরিভিত্তিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান এবং কারখানায় কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান ।