অন্যান্য

স্বাক্ষরবিহীন ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল; হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রায়ই ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল কান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। তার উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরবিহীন ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে জনমনে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের এমন গাফিলতিতে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ
প্রদানে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এতে করে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এ নিয়ে সুশীল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও তা যেন দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে,নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের অধীনে প্রায় আড়াই লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। প্রায়শই বিদ্যুৎ অফিস ভূতোরে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হয়রানি করে যাচ্ছে। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরবিহীন বিদ্যুৎ বিলের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে।

চলতি মে মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে দেখা গেছে, বিল প্রস্তুতকারীর স্বাক্ষর নাই, এছাড়া ডিজিএম/এজিএম এরও কোন স্বাক্ষর নেই। স্বাক্ষরবিহীন বিদ্যুৎ বিল সমগ্র নান্দাইল উপজেলার সকল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হাতে হাতে পৌছে দেওয়া হয়েছে। এতে আরও লক্ষ্য করা গেছে যে, প্রতিটি বিদ্যুৎ বিল অন্যান্য মাসের তুলনায় মে মাসে অতিরিক্ত বিল তৈরী করা হয়েছে। যেখানে বিলের কাগজে লিপিবদ্ধ মিটার রিডিংয়ের সাথে বর্তমান রিডিংয়ের কোন মিল নাই। অর্থাৎ বর্তমান রিডিংয়ের চেয়েও অতিরিক্ত ৩০/৪০ ইউনিট বেশি রিডিংয়ের বিল প্রস্তুত করা হয়েছে। যেথানে একজন বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল অনুযায়ী সমপরিমাণ বিদ্যুৎ খরচও করেনি। এছাড়া মিনিমাম চার্জ ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকা মিনিমাম চার্জ, পাওয়া ফ্যাক্টর চার্জে ২০ টাকা থেকে ৩৫/৪০টাকা, মিটার ভাড়া ১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, ট্রান্সফরমার ভাড়া ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা ধরা হয়েছে। এরকমভাবে নানা অযুহাতে মনগড়া বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করে যাচ্ছে নান্দাইল জোনাল বিদ্যুৎ অফিস।

এ বিষয়ে নান্দাইল রোড বাজার সংলগ্ন গাংগাইল গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক আজিজ মিয়া জানান, প্রতিমাসে আমার মিটারে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ ্ইউনিট বিল আসে। কিন্তুু এ মাসে একটিতে ৮৫ ইউনিট ও আরেকটিতে ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল এসেছে। যা আমার বর্তমান রিডিংয়ের চেয়েও অনেক বেশি। এছাড়া বিদ্যুৎ গ্রাহক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার একই অবস্থা। তা আমার একার নয়, এলাকার প্রত্যেকের
মিটারে অতিরিক্ত বিলের কাগজ এসেছে। শুধু তাই নয় বিদ্যুৎ বিলে বিল প্রস্তুতকারী বা কর্তৃপক্ষের কোন স্বাক্ষর নেই। এ বিষয়ে নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বিপ্লব চন্দ্র সরকার বলেন, বিদ্যুৎ বিল ভাউচারে স্বাক্ষর না থাকার বিষয়টি সফটওয়্যার জনিত সমস্যা বা কোন মিসটেক।
আর বিদ্যুতের বিলে অতিরিক্ত মিটার রিডিংয়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *