অনুমোদিত নকশার বাইরে বাড়ি নির্মাণে অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার ঘোষণা মসিকের:শুরু হচ্ছে অভিযান
শহর প্রতিনিধি ঃ সিটি এলাকার খালগুলোতে অবৈধ দখল এবং খালে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা উচ্ছেদ করার মাননীয় মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা এ মাসব্যাপী এগুলো অপসারণ করবো, যাতে বৃষ্টি হলে কোথাও পানি আটকে না থাকে। এজন্য আজকের মত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এলাকার খালগুলোতে অবৈধভাবে অবকাঠামো ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের সময় কথাগুলো বলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী। এসময় তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে৷ একটি ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা আর থাকবেনা বলে আশা করা যায়। খালের আশেপাশের বাড়িগুলোর নকশাও যাচাই করা হচ্ছে। কোন বাড়ি অনুমোদিত নকশার বাইরে নির্মাণ করা হলে যতটুকু অবৈধ ততটুকু ভেঙে দেওয়া হবে।
৫ জুলাই এ অভিয়ানকারী দল মাসকান্দায় অবস্থিত খালের সাথে সংযোগ স্থাপনে নির্মাণাধীন ড্রেনের জায়গায় নির্মিত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভেঙে দেয়।
টানা বর্ষণে ময়মনসিংহ নগরীর অনেক এলাকাগুলোতে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। পানিবন্দী ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এলাকাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু পরিদর্শন করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি পদক্ষেপ নেন। তারই অংশ হিসেবে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও স্থাপনা সরাতে অভিযান
শুরু করেছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জনপ্রতিনিধি, প্রকৌশলী ও নগর পরিকল্পনাবিদ সহ একটি দল মাসকান্দা-শান্তিনগর খাল ও শেহড়া খালের কিছু অবৈধ স্থাপনা এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে।
এ সময় সিটি কর্পোরেশনের সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুর রহমান, কাউন্সিলর মোঃ কামাল খান, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঞা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ মোঃ জিল্লুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।