আগামী ২৩ আগস্ট সারাদেশে অর্ধ দিবস হরতাল আহবান সর্বজন বিপ্লবী দলের
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবার জটিল রূপ ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার দীর্ঘ অপশাসনের কারণে সম্পূর্ণরূপে জনবিচ্ছিন্ন। বিগত ৫ জানুয়ারী ২০১৪ সংসদ বহাল রেখে ও ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ যে নির্বাচন করে জনগণ তা’ প্রত্যাখান করেছিল। সেই ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর জনগণের সম্মতি ছাড়াই ক্ষমতায় থেকে এবং ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগ ৮ বছর ক্ষমতায় আছে, ও লুটপাট করে দেশ ধ্বংস করছে। এর বিরুদ্ধে বিএনপি কোন স্পষ্ট বিরোধিতা করেনি। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান এখন আসন্ন। তাই আওয়ামী লীগ বিএনপির সাথে জোগসাজশ করে তার অনুগত নির্বাচন কমিশন দিয়ে আবার বিনা ভোটের অথবা ভোট ডাকাতির নির্বাচন করতে চায়।
দায়মুক্ত রেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্রগুলিকে বিনা উৎপাদনেই প্রায় লক্ষ কোটি টাকা পরিশোধ করে চলতি জ্বালানী ও মুদ্রা সংকটের রূপকার হাসিনা সরকার। কিন্তু অন্যান্য ডান ও বাম দলগুলি ‘মন্দের ভালো’ বলে কেউ আওয়ামী লীগের সমর্থক, কেউ বিএনপির সমর্থক। এভাবে মাঠে কোন প্রতিপক্ষ না থাকায় নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের অগণতান্ত্রিক ১২(৩)এ ধারা এবং নিপীড়নমূলক ৯০(বি) ধারা বহাল রেখেই নতুন দলের নিবন্ধন দেবার মূলা ঝুলিয়েছে। আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরাতে ও আওয়ামী অপশাসন থেকে মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে ‘জাতীয় সরকার’ এর অধীনে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবীতে জানুয়ারী ২০২১ থেকে মাঠে আছি।
বাংলাদেশের জনগণের উপর অবৈধভাবে চেপে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ৭ আগস্ট মধ্যরাতে তেলের দাম অতিমাত্রায় বাড়িয়ে জনজীবনে চরম হতাশা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা তথা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনী আইনের কালাকানুন বাতিল করে ১৭ দফা রোড ম্যাপের ভিত্তিতে একটি ‘জাতীয় সরকার’ এর অধীনে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন জরুরী। এই দাবীতে আমরা আগামী ২৩ আগস্ট সারাদেশে অর্ধ দিবস হরতাল আহবান করেছি। এই হরতালের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৬ আগস্ট বিকেল ৪ টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচী আয়োজন করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?