জাতীয়রাজনীতি

আজ ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস

আজকের বাংলাদেশ ডেক্স: আজ ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ময়মনসিংহ জেলা। মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিবাহিনী এবং এ অঞ্চলের জনতার সম্মিলিত প্রয়াসে ময়মনসিংহ অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি ভবনে পাক হানাদার বাহিনীর বিগ্রেড হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয়েছিলো। জেলা পরিষদ ডাক বাংলোটির শান্তি ভবন নাম দিয়ে টর্চার সেল ও কিলিং সেন্টার গড়ে তোলে। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে গড়ে তোলে আরও 2 টি আস্তানা। নগরিীর ছোট বাজারে গড়ে তোলে কিলিং জোন।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা ৯৫ ব্রিগেডের ৫৭ মাউন্ট ডিভিশনের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ অঞ্চল মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ৩ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ শুরু হয়। তখন পাকিস্তানী সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে মুক্তিযোদ্ধারা স্থল ও আকাশ পথে আক্রমণ চালান।

পরে মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তানি বাহিনী ৪ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থেকে পালিয়ে ফুলপুর, তারাকান্দা এবং ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জে জড়ো হয়। এসময় শত্রুরা যুদ্ধের কৌশল হিসেবে সড়ক ও ব্রিজে মাইন পুঁতে রাখলেও মুক্তিযোদ্ধারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তাদের চক্রান্ত মোকাবিলা করেন।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষেরা শক্ত হাতে প্রতিরোধ শুরু করলে ১০ ডিসেম্বর ভোর রাতের মধ্যে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ময়মনসিংহ শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জ রেল ব্রিজটি ধ্বংস করে দিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ময়মনসিংহ শহরজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। মুক্তিকামী মানুষ বিজয়ের মিছিল নিয়ে সার্কিট হাউজে গিয়ে মিলিত হন এবং সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।