আমাদের সম্পর্কে
দৈনিক আজকের বাংলাদেশ হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৩৬ বছরে পদার্পণ করেছে। এই দীর্ঘ যাত্রায় অনেক ঘটনার যেমন নিরপেক্ষ স্বাক্ষী হিসেবে সরব থেকেছে, তেমনি অনেক গুণী মানুষের ছোঁয়া পেয়েছে এই পত্রিকাটি। দীর্ঘ কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে অনেক সময়ই হিমসিম খেতে হয়েছে বৈরী পরিবেশে। কিন্তু আটকে যায়নি। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে পত্রিকাটি লড়াই করেছে বুক চিতিয়ে। চলমান পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ায়ে আপোসহীন স্বকীয়তা নিয়ে পত্রিকার প্রকাশ ঘটছে ধারাবাহিকভাবে।
পৃথিবী এখন শিল্প বিপ্লবের ৪র্থ পর্যায়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে । শিল্প বিপ্লবের অতীতের পর্যায়গুলির মত এই ৪র্থ পর্যায়েও উৎপাদন যন্ত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। অথচ নিকট অতীতেও আমরা পত্রিকা প্রকাশে টাইপ রাইটিং এর মত সেকেলে ব্যবস্থাপনায় অভ্যস্থ ছিলাম । অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আধুনিক কম্পিউটার প্রকাশনার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে যেনো এক লাগামহীন ঘোড়া । দূর্বার, দুর্দম গতিতে ছুটতে গিয়ে মাড়িয়ে চলেছে সমস্ত পুরাতন ব্যবস্থাপনাকে। ফলে মানুষও ইন্টারনেটের এই গতির সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টে নিচ্ছে তাদের রুচি, অভ্যাস ও জীবন ধরণ। তাই জীবনের প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণকে আধুনিক করতে করছে । এমতাবস্থায় আজকের যুগে প্রিন্ট মিডিয়া বিভিন্নভাবে সংকুচিত হয়ে আসছে । সামর্থ্যবান মিডিয়াগুলি ইতিমধ্যে অনলাইনে তাদের কার্যক্রম সক্রিয় করেছে । আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার ক্ষেত্রেও অনলাইন কার্যক্রমের উদ্যোগ বিভিন্ন সময় নেয়া হয়েছে । প্রয়োজনীয় কর্মিবল ও ব্যবস্থাপনার অভাবে তা আর হয়ে উঠতে ছিলো না। সম্প্রতি আজকের বাংলাদেশ পত্রিকা পরিবারের কর্মিবৃন্দ সময়ের বাস্তবতা উপলব্ধি করে ওয়েবসাইট চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে মতে আমার যথাসাধ্য অনুযায়ী আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আশা করি, পাঠকদের সুবিধা বিবেচনায় আজকের বাংলাদেশের কর্মিবৃন্দ তাদের নিরলস প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাবেন।
পত্রিকা অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের মতই দেশ ও সমাজের কাছে একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিষ্ঠান। দেশের শাসকশ্রেণীকে নিয়মিত চেক-আপ করার মাধ্যমে একদিকে যেমন জবাবদিহিতার মধ্যে রাখে, তেমনি দেশের নাগরিকদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন করে তোলে। এ ক্ষেত্রে পত্রিকাকে সমাজের সংগঠকও বলা যায়। সংগঠক হিসেবে আজকের বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট নীতি-আদর্শ রয়েছে । মোট কথায় দেশ ও সমাজ অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাবই আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার দর্শন। শ্রেণী বিভক্ত সমাজে মানুষ স্বাধীন-পরাধীন ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরবিন্যাসে বিভক্ত। আজকের বাংলাদেশ শ্রেণী বিভক্ত সমাজের নিপীড়িতের পক্ষেই তার অবস্থান ঘোষণা করে। ব্রিটিশ আমল শুরু করে নিপীড়িত মানুষের সকল স্বাধিকার ও মুক্তির আন্দোলনের পক্ষের মতাদর্শ আজকের বাংলাদেশের। মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার আন্দোলনের মৌলিক চেতনাকে ধারণ করে অন্যায় বৈদেশিক আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র-জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে আজকের বাংলাদেশের থাকবে অব্যাহত ক্ষুরধার সংগ্রাম। সম্মানিত পাঠক গণের সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দৈনিক আজকের বাংলাদেশের অনলাইন যাত্রা।