কবিতা
প্রগতিশীল সাহিত্যের কবি নাসরিন সুলতানা । তিনি যশোরে অবস্থিত চৌগাছা ডিগ্রি কলেজে লাইব্রেরীয়ান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। সংসার জীবন ও পেশার সাথে সমাজ, মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে তিনি মূলত সাহিত্য চর্চা করেন। তাঁর একটি কবিতা তুলে ধরা হলো-
বর্ষা ফোঁটা ফুল
নাসরিন সুলতানা
নানা রকম ফুলের মাঝে
মন হারিয়ে যায়,
বর্ষা ফোঁটা ফুলের গন্ধে
ঘরে থাকা দায়।
ফুলো রানী মোহন মায়ায়
প্রেম নিবেদন করে,
তাইতো সবাই প্রেমের টানে
তার পিছনে ঘোরে।
বর্ষা ঝরা দুপুর বেলা
ঘরে থাকা দায়
জুঁই চামেলী হাসনা হেনা
ডাকছে কাছে আয়।
শাপলা, পদ্ম , চম্পা, পারুল
মৃদুস্বরে বলে
বেলী ফুলের মালা গেঁথে
পরে নিও গলে।
কেয়া, দোপাটি, টগর ফুল
লাল গোলাপী সাদা,
সেই রুপেরই পলক লেগে
পড়ে গেছি বাঁধা।
কদম ফুল বলে আমায়
বিরহ কেন মনে,
কার বিহনে পরান দোলে
বর্ষা ভেজা ক্ষণে।
আষাঢ় মাস বর্ষা কাল
বনে ফুল ফোঁটে,
ভাটি ফুলের বুনো গন্ধে
নিদ্রা গেছে টুঁটে।
রজনী গন্ধা ফুলের চাষে
কৃষক খুশি হয়,
ফুলের সাজি বিক্রি করে
আয়ও কিছু রয়।
বৃষ্টি ভেজা গোলাপ ফুল
পাপড়ি মেলে দোলে
লাল গোলাপি সাদা গোলাপ
হাতে নিলাম তুলে।
দেশি ছাড়াও বিদেশি ফুল
এ সময়ে ফোঁটে,
টাকা ছাড়া বিদেশি ফুল
কার কপালে জোটে?
এসো দেশি ফুল ভালোবাসি
মন-প্রাণ দিয়ে ,
বিদেশি ফুল পরিত্যাগ করি
মনে বল নিয়ে।
আমার দেশের ফুলও সম্পদ
সবই আমার সোনা,
একরতি বল থাকতে দেহে
হবো নাকো দেনা।
দেশে আমার যা কিছু আছে
তা নিয়ে তৃপ্তি পাবো,
দেশের সম্পদ রক্ষার কাজে
লড়াই করে যাবো।