জাতীয়

কালচারাল অফিসারের বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে ময়মনসিংহে ক্লাস বর্জন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

শহর প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আরজু পারভেজের বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে ক্লাস বর্জন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিল্পকলার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। গত ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৫ ঘটিকা হতে সন্ধ্যা পরবর্তি ০৬:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ফটকের সম্মূখে এ মানবন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচী চলাকালে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ কালচারাল অফিসার আরজু পারভেজের বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ বলেন,বর্তমান ক্রান্তিকাল মুহুর্তে যাতে কালচারাল অফিসারের অন্যত্র বদলী না হয় তার জন্য গত ০৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ আড়াইশ’র অধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের স্বাক্ষরান্তে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল, যা অনুলিপির মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রেরণ করার কথা। কিন্তু ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ জেলা প্রশাসন অফিসে গিয়ে জানা যায় যে, জেলা প্রশাসন কর্তৃক স্বারকলিপিটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রেরণ করা হয়নি। এদিকে, গত ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ জানা যায় যে, কালচারাল অফিসার আরজু পারভেজকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বদলী করা হয়েছে। যা এ মুহুর্তে কাম্য নয়।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ আরো বলেন, এ মুহুর্তে কালচারাল অফিসার আরজু পারভেজ অন্যত্র বদলী চলে গেলে ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই কালাচারাল অফিসারের বদলী আদেশ প্রত্যাহার করা একান্ত প্রয়োজন।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবীর প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্মসূচীতে উপস্থিত সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলী হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কালচারাল অফিসারের সাথে যেহেতু শিল্পকলায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম জড়িত তাই এ মুহুর্তে বদলী না হওয়াই সমীচীন।দেশে বর্তমানে ক্রান্তিকাল চলছে। যার প্রভাব পড়েছে সব জায়গায়। শিল্পকলা একাডেমিও তার বাইরে নয়। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বর্তমান কালচারাল অফিসার যদি বদলী চলে যান তাহলে নতুন কালচারাল অফিসার কর্তৃক শিল্পকলার শিক্ষা কার্যক্রম এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন করা ব্যাহত হবে বলে মনে করি।

কর্মসূচী পালন শেষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ বলেন, কালাচারাল অফিসারের বদলী আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচী পালন করা হবে।