অন্যান্য

কুকুরের উপদ্রব ; নেই উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ আগষ্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত কুকুরের উপদ্রব বাড়ে। বছরের এ সময়ে কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। অথচ চলতি বছরে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রামসহ কুকুরদের ভ্যাক্সিনেশন এর আওতায় আনার ময়মনসিংহে তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি কোন দপ্তরকে। সিভিল সার্জন অফিস, সিটি করপোরেশন,এমনকি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। গত ৮ আগষ্ট রাতে ময়মনসিংহ শহরের জামতলিতে কুকুরের কামড়ে এসকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। যা সকালবেলা বেড়ে যায়। গুরুতর অবস্থা যেসব রোগী তাদেরকে এসকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে প্রায় বিশের অধিক রোগী অপেক্ষামাণ থেকে ভর্তি হয়। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এইচ কে দেবনাথ জানান, এটা নিয়ে নিজস্ব কোন কর্মসূচি নেই তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এটা উদ্যোগ নিয়ে থাকে আমরা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে থাকি। যেখানে আমাদ্রর কাউন্সিলরগণও থাকেন। তবে জামতলা মোড়ে যাদেরকে কামড়িয়েছে তাদেরকে সুচিকিৎসার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং মেয়র মহোদয়ও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, কুকুর কামড়িয়েছে এটা শুনেছি তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। এখন সচেতন করতে হবে মানুষদের। বেশি কুকুর এক সাথে জটলা করলে সেখানে যেন না যায়, সতর্ক থাকে এইতো।

কুকুরকে ভ্যাক্সিনেশন এর আওতায় আনা এমন কার্যক্রম আপাতত নেই। শুধু জামতলা মোড়েই নয় কুকুরের জটলা এখন রাস্তার মোড়ে মোড়েই দেখা যায়। কুকুরের ঘেউ ঘেউ থেকে বাঁচতে দৌঁড়াতে গিয়ে অনেকে পড়ে গিয়েও আহত হয়েছে,এমন ঘটনাও ঘটছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করবে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর তাই করে থাকে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুমেরা খাতুন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, তাদের নিজস্ব কোন কার্যক্রম এখনো দেখেন নি। এটা সিভিল সার্জন এর কাজ। আমরা তাদের সাথে থেকে সাপোর্ট দেই। কার কাজ,কার উদ্যোগ সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষের কোন মাথা ব্যথা নেই। তবে সবাই চান, কুকুর নিধন নয়,ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হোক কুকুরদের। প্রায় কয়েক বছর আগে ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছিল কুকুরদের। এখন আর কারো কার্যক্রম দেখা যায় না।

জামতলা মোড়ে আক্রান্ত কয়েকজন জানান সেখানে প্রায় ২০০ এর অধিক মানুষকে কামড়িয়েছে কুকুর। যার বেশিরভাগই নারী। এসকে হাসপাতালে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেকে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।শহরের কুকুরদের ভ্যাক্সিনেশন এর আওতায় আনা হোক এটাই সবাই প্রত্যাশা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *