ক্যামিকেল মিশ্রিত জুস যাচ্ছে শিশুদের হাতে!নকলায় অবৈধ জুস কারখানা ব্যবসা রমরমা; নজরদারি নেই প্রশাসনের
স্টাফ রিপোর্টার ঃ শেরপুরের নকলায় দীর্ঘদিন ধরে ২টি অবৈধ জুস কারখানা ও ১টি কুলফি কোণআইসক্রিম কারখানায় তৈরি হচ্ছে কেমিক্যাল মিশ্রিত শিশুদের পছন্দের ক্ষতিকর পানীয়। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা ব্যবসার লক্ষে গড়ে তুলেছে এসব কারখানা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিএসটিআইয়ের সিলযুক্ত ভূয়া লোগো ব্যবহার করে দোকানী সহ ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়মিত প্রতারণার মাধ্যমে এসব মালিকরা আজ রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে।
গত বছর র্যাব-১৪ জামালপুর, নকলা উপজেলার ৩ নং উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মোস্তাক তালুকদারের বাড়ির জুস ফ্যাক্টুরীতে অভিযান চালিয়ে ৯৫ হাজারা টাকা জরিমানা এবং প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সম-পরিমানের অবৈধ বোতলজাত জুস, আইস ললি জব্দ করে ধ্বংস করে। ওই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের নিকট মুচলেকা দেয় জীবনে আর কোন দিন শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এমন পানীয় তৈরি করবে না। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি!!
যেই লাউ সেই কদু!আবারও শুরু করে একই ব্যবসা। গত ১৫ জুন সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গত বছরের তুলনায় মোস্তাক তালুকদারের অবৈধ জুস কারখানায় কাজ করছে প্রায় ৪ গুন বেশি শ্রমিক যাদের করোরই নেই কোন প্রশিক্ষণ বা শিশু খাদ্য তৈরি, এ জাতীয় কোন সনদ। এবার বোতলের গায়ে স্টিকারে নামকরণ করা হয়েছে জীবন পানীয়।
মোস্তাক তালুকদারের বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পশ্চিমে গড়ে উঠেছে আরেকটি অবৈধ জুস কারখানা যার প্রতিটি বোতলের গায়ে নামকরণ করা হয়েছে ফ্রীডম ফাইটার। সেখানেও একই সিস্টেমে বিএসটিআইয়ের ভূয়া লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। সেই কারখানাতেও কাজ করছে ১৫ জন শ্রমিক। জুস তৈরির অটো মেশিন দিয়ে তৈরি করছে দৈনিক প্রায় ৩০০ কার্টুন জুস, আইস ললি সহ শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক নানা আইটেমের পানীয়।
জুস কারখানার যাওয়ার রাস্তার প্রায় ২০০ মিটার দক্ষিণে পুকুরের কোনায় ছোট ঘর বানিয়ে রাখা হয়েছে নিরাপত্তা প্রহরী। অপরিচিত কাউকে কারখানায় যেতে দেখলেই হয়তো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে নয়তো ফোনে সতর্ক করে, কারখানার ম্যানেজারকে। কারখানা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরের গোডাউনে রাখা হয় প্রতিদিনের তৈরি বোতলজাত জুস জাতীয় পানীয়।
শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব পানীয় নকলা উপজেলার কয়েকটি হোলসেলার ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে পুরো উপজেলায়। প্রতিদিন মধ্যরাতের দিকে পিকাপে করে ময়মনসিংহের ছোট বাজার, মুক্তাগাছা, বিদ্যাগঞ্জ, হালুয়াঘাট এবং গাজিপুরে বিভিন্ন ডিলার পয়েন্টে নেওয়া হয় কেমিক্যালে তৈরি মারাত্মক ক্ষতিকর এসব পানীয়।
উপজেলার ২ নং নকলা ইউনিয়নের ধনাকুর্শা পুরাতন বাজারের পশ্চিম দিকে মার্কেটের কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছে কোণআইসক্রিমের কোণ। পচা,নোংরা পরিবেশে ২দিন আগের গোলানো আটা/ময়দা দিয়ে তৈরি করছে এসন কোণ যা বিক্রি করা হয় স্কুলগুলির সামনে,শিশুদের কাছে । প্রাথমিক বা কেজি স্কুলের শিশুদেরকে খাওয়ানো হয় কেমিক্যাল ও বরফ মিশ্রিত এসব কোণ।