জাতীয়

গৌরীপুরে ৪৯ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এবার কমেছে পূজামন্ডপ। এ বছর পুজা হচ্ছে ৪৯টি মন্ডপে। গত বছর ৬৩ স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমাকে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে বর্ণিল রঙসাজে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর/২৪) নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও পূজা প্রশস্তার মধ্যে অর্দ্ধ রাত্রিপুজার মধ্যদিয়ে শুরু হতে হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃৎ শারদীয় দুর্গোৎসব। সপ্তমী পুজার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

মাস্টারপাড়া ঝলকে এবারও দর্শকদের বিনোদনের জন্য থাকছে নাগরদোলা, চরকিসহ নানা আয়োজন। বিশেষ করে দুর্গাবাড়ি মন্ডপের সামনে গতবছরের ন্যায় আলোকসজ্জার ঝলকানি নেই। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো, বড়বড় ভবনের দেখা মিলেনি আলোকসজ্জা আর বর্ণিল সাজের। পৌর শহরের মন্ডপগুলোতে প্রবেশপথ পূর্বের ন্যায় সাজানো হয়নি।

কালিপুর পুজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ পিলু জানান জানান, মন্ডপ এলাকায় যেন কোনরূপ বিশৃঙ্খলা, নারীদের যৌন হয়রানি, উঠতি বয়সের কিশোর ও যুবদের বেপরোয়া চলাচলে নজরদারি করতে মন্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। গৌরীপুরে এবারও সর্বোচ্চ প্রতিমা তৈরি করেছেন মৃৎশিল্পী সুকেশ পাল। তিনি জানান, এবার শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমায় আরো নতুনত্ব ও সাজে তৈরি করা হয়েছে। মনের মাধুরী দিয়ে মাকে সাজিয়েছি এবার। শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্নভাবে উদযাপন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ, গৌরীপুর পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার প্রমা, গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মাযহারুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে উপজেলার পুজা উদযাপন কমিটি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক আলোচনা সভা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যেকটি পুজামন্ডপ পরিদর্শন করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশ শারদীয় দুর্গোৎসবের সবধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক পুজামন্ডপে সরকারি বরাদ্দের ৫শ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার জানান, সর্বোচ্চ মন্ডপ রয়েছে গৌরীপুর পৌরসভায় ১৫টি, দ্বিতীয় অবস্থানে ডৌহাখলা ইউনিয়নে হচ্ছে ৮টি। এছাড়াও মইলাকান্দা ইউনিয়নে ৭টি, পূজামন্ডপ রয়েছে অচিন্তপুর ৫টি, গৌরীপুর সদর, মাওহা ও বোকাইনগর ইউনিয়নে ৩টি করে, রামগোপালপুর ইউনিয়নে ২টি, সিধলা, সহনাটী ও ভাংনামারী ইউনিয়নে ১টি পূজামন্ডপ রয়েছে।

উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর জানান, প্রত্যেকটি পুজামন্ডপে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। মন্দির কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।