‘চা শ্রমিকদের জীবন মান ও মজুরি’ শীর্ষক টকশো অনুষ্ঠিত করছে ওয়ার্কার্স ভয়েস
স্টাফ রিপোর্টার: ‘চা শ্রমিকদের জীবন মান ও মজুরি’ শীর্ষক টকশো অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছে ওয়ার্কার্স ভয়েস। বিভিন্ন শ্রম সেক্টরের সমস্যা ও করণীয় নিয়ে প্রতি শনিবার নিয়মিত টকশো’র আয়োজন করে আসছে ওয়ার্কার্স ভয়েস। আগামিকাল ১০ জুলাই শনিবার রাত ৯টায় ফেসবুকে লাইভে চা শ্রমিকদের নিয়ে এ টকশো অনুষ্ঠিত হবে ।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফিলিপ গেইন, গবেষক ও পরিচালক ; পরিবেশ ও মানব উন্নয়ন সোসাইটির পরিচালক (এসইএইচডি); অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়; রামভজন কৈরি, সাধারণ সম্পাদক, চা শ্রমিক ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং শ্রীমতি বাউরী, সহ-সভাপতি, জুরি ভ্যালী কার্যকরী পরিষদ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন শাখাওয়াত হোসেন, নিউজ এডিটর, নাগরিক টিভি।
উল্লেখ্য যে,১১ বছরের বেশি সময় পর সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ড গত ১৩ জুন চা-বাগান শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের জন্য ‘এ’ ক্লাস বাগানে দৈনিক ১২০ টাকা, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্লাস বাগানে ১১৮ টাকা ও ১১৭ টাকা মজুরির প্রস্তাব করে বিভিন্ন সুপারিশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। মজুরি বোর্ডের সুপারিশ প্রত্যাখান করে চা-শ্রমিক সংঘ সহ বিভিন্ন সংগঠন ।
চা-শ্রমিক সংঘ সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে ছয় সাত জনের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য দৈনিক ৬৭০ টাকা মজুরিসহ চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার বিষয় যুক্ত করে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করার দাবিসহ মজুরি বোর্ড বরাবর ১২ টি বিষয়ে সুনির্দ্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করে।
বর্তমানে দেশে চা-বাগানের সংখ্যা ১৬৭। এসব বাগানে কাজ করেন ১ লাখ ৪০ হাজার শ্রমিক। ২০১০ সালের মজুরি বোর্ড শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল।