অন্যান্য

ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন;খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

মেহেদী হাসান পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারের (৪০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া পশ্চিমপাড়া নিমতলা ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মনিরুজ্জামানের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়ে মনিরুজ্জামানের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুরুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম তালুকদারের ছেলে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে ট্রাফিক কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল শনিবার ভোরে রাজধানীর ফার্মগেটে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি।

জানাজায় উপজেলা চেয়ারম্যান এ ডি এম শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন ছালেম, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, থানার উপপরিদরশক (এসআই) সাইফুল মালেক, কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নূনসহ হাজারো মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান এসএসসি পাশ করার পর ২০০১ সালে কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। স্ত্রী রুমি আক্তার গৃহিনী। বড় ছেলে আব্দুল্লাহর বয়স ৪ আর ছোট ছেলে আব্দুর রহমানের বয়স ১ বছর। মনিরুজ্জামানের কর্মস্থল ঢাকায় হলেও তার স্ত্রী ও দুই সন্তান শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে থাকেন। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুরুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে মনিরুজ্জামানের মরদেহ এসে পৌঁছায়। এ সময় স্বজন ও এলাকাবাসীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নিহতের বাবা আবুল কাসেম তালুকদার বলেন, ছেলের অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন তার (মনিরুজ্জামান) পরিবার কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার আবেদন জানান তিনি। সেইসঙ্গে তার ছেলের হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। একইসাথে এ অসহায় পরিবারটির দিকে সুদৃষ্টি দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *