জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক
বাবলী আকন্দ ঃ নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে হলেও অন্যান্য জেলা থেকে ময়মনসিংহ জেলার সিটি করপোরেশন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে এগিয়ে আছে। অনলাইনে আবেদন দাখিল,ফি প্রদানসহ সার্ভার জটিলতা, ২০২৩ সালে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের জন্ম সনদ করতে গেলে (পিতা-মাতার জন্ম যদি ২০০০ সালের পর হয়) দাদা-দাদী ও নানা-নানীর জন্ম সনদ করতে হয়। একটি জন্ম সনদ করতে গিয়ে ছয়টি জন্ম সনদ করতে হয় এছাড়াও জন্ম সনদ আবেদন করার সময় নিজ নাম পিতা-মাতার নাম মিলে গেলে অনেক সময় পসিবল ডুপ্লিকেট আসে যা পূর্বে উপপরিচালক স্থানীয় সরকার কার্যালয় থেকে শুনানীর মাধ্যমে সমাধান হতো। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে পসিবল ডুপ্লিকেট সমাধান না হওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে। ফলে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে। অথচ প্রায় ১৮ টি ক্ষেত্রে নাগরিকদের জন্ম নিবন্ধন ও ৪ টি ক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন প্রয়োজন হয়। জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা আইনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গতকাল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৮ অক্টোবর পালিত হয় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, জন্ম নিবন্ধন করা হলে জনসংখ্যার সঠিক নিরুপণ সম্ভব হয় ফলে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা ও তা বাস্তবায়নের জন্যে কাজ সহজতর হয় ও টেকসই হয়। সকলকে তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখার লক্ষ্যে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার আহবান জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এইচ কে দেবনাথ৷ আঞ্চলিক কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ, এস এম মাজহারুল ইসলাম, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে এক বর্ণাঢ্য র্যালী নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।