জাতীয়

জমি দখল করতে না পেরে জমির মালিকদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে পৈত্তিক সম্পত্তি ভোগ দখল করতে গিয়ে ভূমিস্যূদের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলা ও অস্ত্র মামলার শিকার হয়েছেন ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার উত্তর কান্দাইল বাগপারা গ্রামের মো: সাইদুর রহমান, মো: ফারুক মিয়া, মাহা ফিলা বেগম, মো: রুবেল ও মো: রিপন মিয়া। গত ১৪ নভেম্বর উপজেলার করিমগঞ্জের উত্তর কান্দাইল বাগপারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর খুর্শিদ গং তাদের নিজ জমিতে ধান কাটতে গেলে ভূমিদস্যূরা প্রথমে জেলার করিমগঞ্জ থানায় একটি ধান কাটার চুরির মামলা ও পরে একটি অস্ত্রমামলায় তাদেরকে আসামী করা হয়।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার খুর্শিদ গংদের ৬১ শতাংশ জমি তাদের ছেলে মেয়েরা দীর্ঘ দিন যাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। হটাৎ জমির দলিল তল্লাশী করতে গিয়ে দেখা যায় করিমগঞ্জ উপজেলার দলিল লেখক শফিক মিয়ার যোগষাজশে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের দাদা চানফর আলীর নামে আরএস রেকর্ড করে। বিষয়টি জানাজানি হলে আরএস রেকর্ড সংশোধনের জন্য কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন জমির প্রকৃত মালিক খুর্শিদ মিয়া গং। উক্ত মামলার নোটিশ চানফর আলীর বাড়িতে গেলে তখন থেকেই তারা খুর্শিদ মিয়া গংদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ১৪ নভেম্বর খুর্শিদ গংদের বাড়িতে পৃথক পৃথকভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলিল লেখক সফিকুল ইসলাম সরকারের নির্দেশে রফিকুল, আবদুল্লাহ, আয়নাল, এমদাদুল, আবু হানিফ, মস্তু, নয়ন,হেদায়াত উল্লাহ, কাদিরসহ আরো অজ্ঞাত নামা বেশ কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ঘটনার দিন তাদের নামে অস্ত্র মামলা দিয়ে তাদেরকে আসামী করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ভূমিদস্যু রফিকুল। এ বিষয় জমির অংশীদার মোছা: রাবিয়া আক্তার বাদী হয়ে রফিকুল গংদের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রতিবেশী সোনা মিয়া ও মোবারক হোসেন বলেন, আমরা বেশ কয়েক দিন যাবৎ রফিকুল ও জমির মালিক খুর্শিদ মিয়া গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি পাঁচ থেকে সাতটি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে দলিল লেখক মো: শফিকুল ইসলামসহ রফিকুল ইসলামের লোকজন।

করিমগঞ্জ উপজেলার ৯ নং জয়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হুমাহুন কবির বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে দুই পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেস্টা করব।

এ বিষয় করিমগঞ্জ থানার ওসি শাহাব উদ্দিন বলেন,দুই পক্ষ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।