জামালপুরে গ্যাস সংকটে বন্ধ যমুনা সার কারখানার উৎপাদন
জামালপুৃর প্রতিনিধি: জামালপুরে গ্যাস সংকটে বন্ধ রয়েছে এশিয়া উপ-মহাদেশের বৃহত্তম দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড।
জানা গেছে, ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে চালু হয় খারখানাটি। ১৭০০ মেট্রিকটন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই কারখানার সার সরবরাহ করা হয় দেশের ২১ জেলার ১৬২টি উপজেলায়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানা গেছে,এ বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদনেই যেতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। কারখানাটি কখনও যান্ত্রিক ত্রুটি, কখনও গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা।
বর্তমানে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষকে। এছাড়াও সার আমদানি করায় সরকারকে দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের ভর্তুকি। তবে উন্নত গুণগতমান থাকায় অন্য সারের চেয়ে যমুনা সার কারখানার ইউরিয়া সারের প্রতি চাহিদা বেশি কৃষকদের। এছাড়াও আসন্ন আবাদ মৌসুমের আগে কারখানা চালু না হলে কৃত্রিম সার সংকটের আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৬ পর্যন্ত যমুনা কারখানা খুব ভালো করে চলেছে। তারপর নানা কারণে ও সিন্ডিকেটের কারণে ধীরে ধীরে বন্ধের পথে গেছে। এখন এটিকে গোডাউন বানিয়ে তারপর সার আমদানি করা হচ্ছে। কারখানায় এক টন সার উৎপাদন করতে খরচ হয় মাত্র ২৫ হাজার টাকা যেখানে বিদেশি সার আনতে খরচ হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এখানেই সরকারের এতো এতো টাকা ক্ষতি হচ্ছে। তাই সংকট কাটিয়ে দ্রুত উৎপাদন প্রয়োজন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান ,যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত সার আমাদের জমিতে কাজ করে বেশি। এই সারটি মিঠা পানি দিয়ে তৈরি হয় বিধায় এই সারটি আমাদের এই মাটির জন্য প্রযোজ্য। বিদেশ থেকে আমদানি করা সার ১০০ ভাগের ৭০ ভাগ কাজ করে চড়া দামে কিনতে হয়। তাই কৃষকের সার সংকট দূর করতে এই কারখানাটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, প্রস্তুত রয়েছে কারখানা, গ্যাস পেলে উৎপাদন শুরু হবে।