থাকবে সর্বোচ্চ সতর্কতা; ত্রিশালের ৭৩টি পূজামন্ডপ থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গোৎসব ২০ অক্টোবর থেকে। এ উৎসবে যেন কোন প্রকার অপৃত্তিকর ঘটনা না ঘটে এবং পূজা মন্ডপ ও আশপাশে সার্বক্ষিনক নজর রাখতে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। যার মাধ্যমে যদি কেহ কোন প্রকার অপরাধে লিপ্ত হতে চায় তাহলে তাকে শনাক্ত করণসহ নিরাপত্তার বলয়ে থাকবে উপাসনালয়টি। এছাড়াও যেকোন দুর্ঘটনা এড়াতে সার্বিক খোজ-খবর রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। যেকোন ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে থাকবে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ।
সূত্র জানায়, ২০ থেকে শুরু হয়ে ২৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গোৎসব। সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় এ উৎসব যেন নির্বিঘেœ পালন করতে পারে সে জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
তুলির আচরে মৎশিল্পীরা শেষ মুহুর্তে মনের মাধুরী দিয়ে আঁকছেন প্রতীমাকে আকর্ষনীয় করে তুলতে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে এ বছর ৭৩টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী শংকর রায় ও সাধারন সম্পাদক শ্রী প্রণব আচার্য্য।
সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা। এ সভায় পৌরসভাসহ উপজেলার ৭৩টি মন্দিরের প্রতিনিধিদের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয় সিসি ক্যামেরা ও সরকারী অনুদান মন্ডপ প্রতি পাঁচশত কেজি করে চাল।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, উপজেলা আওমী লীগের সভাপতি আবুল কালাম শামসুদ্দিন, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী শংকর রায়, সাধারন সম্পাদক শ্রী প্রণব আচার্য্য সহ ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও ৭৩টি পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিগণ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, প্রতিমা তৈরি ও এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে সার্বিক খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। পূজায় যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তার জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।