ধান কাটাকে কেন্দ্র করে নকলায় বর্গাচাষীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামী র্যাবের হাতে গ্রেফতার
শেরপুরের নকলায় বর্গাচাষী আলী হোসেন‘কে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা মোঃ খোকন মিয়া‘কে ২৪ মে ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ। আসামী খোকন মিয়ার বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা থানার চরভাবনা এলাকায়। ফুলপুরের পয়ারি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
উল্লেখ্য যে, জমির মালিক জনৈক মোঃ সেলিম মিয়া‘র ৫০ শতক জমি আসামী মোঃ ইদ্রিস আলী গং ওয়ারিশ মূলে দাবী করে আসছেন। এই জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বোরো মৌসুমে উক্ত জমি বর্গাচাষী ভিকটিম আলী হোসেন চাষাবাদ করে। ঘটনার দিন ০৫ মে, ২০২৩ খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ০৬.২০ ঘটিকার সময় বর্গাচাষী আলী হোসেন এবং তার ছোট ভাই শুক্কুর আলী (৩২) ও ছেলে মোঃ রাব্বি (২০) সহ তার চাষাবাদকৃত জমিতে ধান কাটতে যায়। এই সময়, আসামী পক্ষ ধান কাটতে বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে, আসামীগন তাদের হাতে থাকা ধারালো দা এবং শুল্কী দিয়ে ভিকটিমের মাথায় এবং পেটে কোপ মারলে গুরুতর জখম করা সহ ভিকটিমের ভাই ও ছেলেকে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে, ভিকটিমের পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিম আলী হোসেন (৪৮), পিতা-মৃত নবাব আলী, সাং-চরবসন্তী পশ্চিম পাড়া, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর‘ কে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা বেগম (৪২), স্বামী- (ভিকটিম) মৃত আলী হোসেন, সাং- চরবসন্তী, পশ্চিমপাড়া, থানাঃ নকলা, জেলাঃ শেরপুর বাদী হয়ে মোঃ খোকন মিয়া (২৫) সহ ১৯ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী খোকন মিয়া‘ সহ অন্যান্য আসামীগন পলাতক ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা প্রক্রিয়াধীন।