নান্দাইলে জেল খেটেও পুরোমাসের বেতন তুললেন মাদ্রাসা সুপার
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাশকতার মামলায় জামায়েত নেতা হিসাবে ৩২দিন জেল খেটেও পুরো মাসের বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন মাদ্রাসার সুপার। এমন অভিযোগ উঠেছে নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধূরুয়া ডিএস দাখিল মাদ্রসার সুপার তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গ্রেফাতারের পর অত্র সুপারকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলেও সরকারি নিয়মনীতির ভঙ্গ করে পুরো মাসের বেতন ভাতা উত্তোলন করায় এলাকার সুশীল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭১ সনে প্রতিষ্ঠিত ধূরুয়া ডিএস দাখিল মাদ্রাসাটিতে সুপার তাইজুল ইসলাম ১৯৯৫ সনে যোগদান করেন। কিন্তুু বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তিনি দুইবার বহিষ্কারও হয়েছেন। পরবর্তীতে ১১ই ডিসেম্বর ২০০৫ সনে পুনরায় সুপার পদে যোগদান করেন। সুপার তাইজুল ইসলাম, তিনি নান্দাইল উপজেলা জামায়াতের সদস্য থাকার পাশাপাশি চন্ডিপাশা ইউনিয়ন জামায়েত নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে বলে জানা গেছে।
গত ২২ আগষ্ট/২৩ইং পুলিশ একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেফতার করেন। একমাস দুইদিন জেল হাজতে থাকার পর ২৪শে সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান সুপার তাইজুল ইসলাম। তবে তিনি নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। কিন্তু সরকারি আইনে কোন শিক্ষক গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে গেলে, সাময়িক বহিষ্কার হবেন, কিন্তুু মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে সুপার তাইজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে বেতন ভাতা উত্তোলনের কথা স্বীকার করলেও- তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, জেল হাজতে যাবার পর তাকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করেছি এবং উনার অর্বতমানে সহ-সুপার শহিদুল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছি। কিন্তুু জামিনে মুক্তি পাবার এক সপ্তাহ পর সুপারের সাময়িক বরখাস্ত তুলে নেওয়া হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুফাক্কারুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জেল থেকে জামিনে এসে জেলে থাকার দিনগুলোর বেতন উত্তোলন করতে পারেন না।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল জানান, সুপারের বেতন ভাতার ফাইলটি আমি দেখে বলতে পারবো। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দেখে ব্যবস্থা নিবো।
ময়মনসিংহ জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ফকির জানান, মামলা হওয়ার পর গ্রেফতার হলে সাময়িক বহিষ্কার থাকা অবস্থায় মূল বেতনের অর্ধেক টাকা পাবেন। দÐপ্রাপ্ত হয়ে বহিষ্কার হলে সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা পাবেন না।