জাতীয়

নান্দাইলে দিনদুপুরে নিরীহ কৃষকের পাকা ধান কেটে নিলো প্রতিপক্ষ

নান্দাইল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়নের নিজবানাইল গ্রামের নিরীহ কৃষক দুলাল আকন্দের ১৫ শতাংশ জমির পাকা ধান দিনদুপুরে কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুধু তাই নয় প্রায় ২৬ বছর যাবত ভোগ দখলে থাকা কৃষক দুলাল আকন্দের ক্রয়কৃত সাফ কাওলা কৃষি জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। এমন অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বংশীয় মৃত মৌলার বাপের পুত্র রিটন আকন্দ, শামসুল আকন্দের পুত্র বায়েজিদ আকন্দ, জুনায়েদ আকন্দ ও মৃত গোলাম হোসেম আকন্দের পুত্র আব্দুল হাই আকন্দের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে নিরীহ কৃষক দুলাল আকন্দের জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ ও পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার দিকে একই গ্রামের রিটন আকন্দ, শামসুল আকন্দ ও আব্দুল হাই আকন্দ গংরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও রেলওয়ের ইটপাথর নিয়ে কৃষক দুলাল আকন্দের পাকা ধান ক্ষেত দখলে নিয়ে ক্ষেতের পুরো পাকা ধান যাহার আনুমানিক ১৫ মণ আমন ধান কাটিয়া নিয়া যায়। এসময় নিরীহ কৃষক দুলাল আকন্দ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে রেলওয়ের ইট-পাথর নিক্ষেপ করে তাড়িয়ে দেয়, এমনকি রিটন আকন্দ গংরা ওই কৃষকের বাড়ি-ঘরে ইট-পাথর ছুড়েছে বলে কৃষক পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। পরে দুলাল আকন্দের পুত্র পিয়াস আকন্দ বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে দুলাল আকন্দ ও পিয়াস আকন্দ জানান, নিজ বানাইল মৌজায় ১৯৯৮ সনে আর.ও.আর এবং দলিল মূলে জাহাঙ্গীর আকন্দ ও আলমগীর আকন্দের নিকট থেকে খতিয়ান নং ১১৪ ও দাগ নং ৪১০ এর ৭৫ শতাংশের খাত ১৫ শতাংশ জমি সাফ কাওলা ক্রয় করে দীর্ঘ ২৬ বছর যাবত ভোগ দখলে আছেন। কিন্তু এতবছর পর শত্রুতাবশত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক জমি দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিটন আকন্দ গংরা। শুধু একের পর এক জমি দখল এবং বাড়ি-ঘর ও বাজারের দোকানপাটে হামলা চালানো সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হাত থেকে রেহাই পেতে উর্ধতন পুলিশ প্রশাসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিরীহ কৃষক দুলাল আকন্দের পরিবার।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার এসআই ছালেহ আহম্মদ বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, যেহেতু বিষয়টি জমিসংক্রান্ত বিষয়, তা তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অপরদিকে প্রতিপক্ষ শামছুল আকন্দের পুত্র বায়েজিদ আকন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি, তাদের জমি থেকে তারা ধান কেটেছে এটাতো দোষের কিছু নয়।

তবে জমি বিক্রয়কারী জাহাঙ্গীর আকন্দ বলেন, আমরা যতটুকু সম্পত্তির প্রাপ্তির মালিক, ততটুকুই বিক্রি করেছি। এখানে বাঁধা দেওয়া সত্যি অনর্থক ও আইনত অন্যায়।