নান্দাইলে পরিবেশ নষ্ট ঃ সড়কের পাশে হ্যাচারির পচা ডিমের স্তুপ
নান্দাইল প্রতিনিধি ঃ নান্দাইল উপজেলার চৌরাস্তা-তাড়াইল সড়কের যুগের হাওড় নামক স্থানে দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধারে হ্যাচারির পচা ডিমের স্তুপ ফেলা হচ্ছে। এসব পচা ডিমের বর্জ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারিসহ স্থানীয় লোকজন। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন।
সরজমিনে দেখা গেছে, যুগের হাওড় নামক স্থানের ওই সড়কের দুপাশে রয়েছে ঘন সন্নিবেশিত বিভিন্ন গাছের সারি। রয়েছে প্রচুর ফসলি জমিও। একপাশে রয়েছে নান্দাইল থানা পুলিশের একটি পুরনো টহল ঘর। টহল ঘরের অদূরে সড়কের উত্তর পাশে কে বা কারা প্রতিদিন রাতের আঁধারে হ্যাচারির পচা ফাটা ডিম ও ডিমের খোসা ফেলছে। এসময় স্থানীয় লোকজন জানায়, দুর্গন্ধের কারণে নাকে কাপড় বেঁধে কৃষকরা আশেপাশের জমিতে কাজ করে। এরপর দুর্গন্ধে পেটের নাড়ি ভূঁড়ি বাহির হয়ে যায়। পথচারিসহ যানবাহনের যাত্রিরা নাক চেপে ধরে জায়গাটি পার হয়। উলুহাটি গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম পাশের পুলিশের একটি টহল ঘর দেখিয়ে বলেন, এখানে কিভাবে আবর্জনা ফেলার সাহস পায়। একই গ্রামের সিনিয়র শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বাবুল জানায়, এসব বর্জ্য খেতে এসে কখনো কখনো যানবাহনের চাপায় পড়ে মারা যাচ্ছে শিয়াল কুকুরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি। তাদের মৃত দেহ থেকেও দূর্গন্ধ ছড়ায়। এই বিষয়ে কারও মাথা বেথা নেই।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, চৌরাস্তা, নান্দাইল রোড, দরিল্লাহ সহ আশপাশের গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক হাঁসের বাচ্চা ফুটানোর হ্যাচারী রয়েছে। এসব বাচ্চা উৎপাদনকারী হ্যাচারীর মালিকরাই যানবাহনে করে এনে এখানে বর্জ্য ফেলে যাচ্ছেন । এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় হ্যাচারীর মালিক আল-আমিন, ফারুক মিয়া, হারিছ মিয়া ও কান্তু মিয়া বলেন, ‘তাদের বর্জ্য কিশোরগঞ্জ জেলখানার মোড়ে নিয়ে ফেলে আসার জন্য চুক্তিবদ্ধ পিক-আপ আছে।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, আমাদের এই এলাকায় একবার টহল হয়। আমরা যখন চলে আসি তখন হয়তো ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজন যদি হাতে নাতে ধরতে পারে তাহলে ব্যবস্থা নিব। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনসুর আহম্মেদ বলেন, আমি নতুন যোগদান করিছি। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।