নান্দাইলে বীরঘোষপালা স: প্রা: বিদ্যালয়ে দিন দুপুরে চুরি;থানায় অভিযোগ
নান্দাইল প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১২২ নং বীরঘোষপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিন দুপুরে প্রতিষ্ঠান ভবনের বিভিন্ন লোহার জিনিস পত্র চুরি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বীরঘোষপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগম শনিবার নান্দাইল মডেল থানায় একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বীরঘোষপালা গ্রামে অবস্থিত ১২২ নং বীরঘোষপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অত্র বিদ্যালয়ে এরপূর্বেও জলমোটর সহ বিভিন্ন ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া বিদ্যালয়টিতে নৈশ্য প্রহরী না থাকায় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে রাতের বেলায় অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনাও ঘটেছে। গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জুম্মাহ’র নামাজের সময় বীরঘোষপালা গ্রামের মৃত জাফর উদ্দিনের পুত্র আহসান উল্লাহ (৩০), নাজিম উদ্দিনের পুত্র মো. রনি মিয়া (২০) ও সবুজ মিয়ার পুত্র মো. রাব্বি (১৮) পুরাতন ভবনের জানালার গ্রীল, দরজা ও নতুন ভবনের গ্রীলের দরজার তালা ভেঙ্গে লোহার ব্যাঞ্চ সহ অন্যান্য লৌহ জাতের জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা আ: রহিমের স্ত্রী রিনা আক্তারকে দেখতে পেয়ে অভিযুক্ত চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। রিনা আক্তার চুরির ঘটনা দেখতে পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পরপরই বিষয়টি অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগম এবং বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় মিডিয়াকর্মী সহ এলাকাবাসীর সর্বসম্মতিক্রমে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগম শনিবার নান্দাইল মডেল থানায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন্নেছা বলেন, বিষয়টি শোনেছি, মূলত চুরির ঘটনার বিষয়টি আইনগত বিষয়। আর বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি নিলামে দেওয়ার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।