পূর্বধলায় বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ২৫টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত
শিমুল শাখাওয়াতঃ টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা পূর্বধলার,জারিয়া আনসার ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে নাটের কোনা নামক স্হানে কংস নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে অন্তত ২৫টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে গত রোববার সন্ধ্যার পর থেকে বন্যার পানি ঢুকেছে। গ্রামের রাস্তা,পুকুর, ঘরবাড়ি ও বিদ্যালয় প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রবিবার বেলা ১১টায় পূর্বধলার জারিয়া কংস নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রমে পূর্বধলার তিনটি ইউনিয়নে বেড়ীবাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
উপজেলার জারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)চেয়ারম্যান মো.আমিনুল ইসলাম নান্টু মণ্ডল মানবজমিনকে বলেন,জারিয়া ইউনিয়নটি নিচু এলাকা। ইউনিয়নে জারিয়া,বারহা,মৌদাম,নাটের কোনা,শালদিঘা,ধনিয়া কান্দা,গুজাখালীকান্দা,পাহাড়ি পানিতে পুরো গ্রাম কবলিত হয়েছে। বাজারে পানির কারণে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না।
ঘাগড়া ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম রানা জানান, ঘাগড়া ইউনিয়নের কালিপুর,বাইন্ঞা,কোচকালি,বানের কান্দা,টুটিয়া,দুগাছি,চন্দ্রকেনা,রামকান্দাসহ ০৯টি গ্রাম পানিতে কবলিত হয়েছে। নিচু এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এলাকা প্লাবিত হওয়ায় মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি পুকুরের মাছ
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
ধলামূল গাঁও ইউপির চেয়ারম্যান রেজুয়ানুর রহমান রনি বলেন,তাঁর ইউনিয়নের এরোয়ার চড়,পাটলী, কুড়িকুনিয়া, নলুয়া পাড়া,ধলামূল গাঁও, জামধলা,দেবকান্দা,চড়ের ভিটা সহ ০৮টি গ্রাম বন্যার পানিতে কবলিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান জানান, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জারিয়া ঝাঞ্জাইল রেলস্টেশন এলাকায় ১০৪ মিলিমিটার হয়। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে কংস, সোমেশ্বরী, ধনুসহ অন্য বড় নদ-নদীর পানি বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান জানান বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজন মোতাবেক ত্রান সামগ্রীও বিতরন করা হচ্ছে। এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।