প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই
আনোয়ার হোসেন শাহীন: গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাতুল হাসান গত ২১ ফেব্রুয়ারীতে সকালবেলা পিতা-পুত্র দুই ভাষা সৈনিক কবর জিয়ারত করতে বোকাইনগরে গিয়েছিলেন। একজন হলেন ভাষাসৈনিক মৌলভী আঃ ওয়াহেদ বোকাই নগরী ও অন্যজন তাঁর ছেলে ভাষা সৈনিক আঃ কুদ্দুস বোকাইনগরী। দু’জনই বোকাইনগরের অষ্টঘর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে চির শায়িত। এই প্রথম বার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকাবাসী। ইউএন ও মহোদয়কে অবগত করার জন্য আমি দু’জনের প্রসঙ্গে আলোচনার মধ্যে কিছু দাবী পেশ করি। আমার কথাগুলো শুনার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাতুল হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, এখনো কেন ভাষা সৈনিক মৌলভী আঃ ওয়াহেদ বোকাই নগরী এম এল এ সাহেব একুশে পদক পাননি। ২০২৬ সালে তিনি যেন একুশে পদক পান এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে কবর পাকা ও রাস্তার নামকরন করা হবে। উল্লেখ্য,তৎকালীন পাকিস্থানী সরকার ১৪৪ ধারা জারি করলে, গৌরীপুরের নেতৃবৃন্দ ৪৪ ধারা ভেঙ্গে চোঙ্গা ফুকিয়ে বাংলা ভাষার সপক্ষে প্রচার পত্র, বিতরন,পথ সভা,সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল করে।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গৌরীপুর ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলনকে তীব্রতর করার লক্ষে জনমত গঠন করে। ময়মনসিংহ থেকে আইযুব শাহীর দাঙ্গা পুলিশ এসে টিয়ার নিক্ষেপ,লাটিপেটা করে অবরোধ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকায় পুলিশের গুলিতে ছাত্ররা শহীদ হলে গৌরীপুরের ভাষা বিপ্লবীরা তৎকালীন বাজার ময়দানে(বর্তমান শহীদ হারুণ পার্ক)কে ইটের উপর ইট রেখে লালসালু কাপর দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে। পরে পুলিশ এসে গুড়িয়ে দেয় এবং গৌরীপুরের ১৮ ভাষাসৈনিকের নামে হুলিয়া জারি করে। এর মধ্যে ভাষা সৈনিক কলকাতার এসেম্বলির সদস্য আঃ ওয়াহেদ বোকাই নগরী (এম এল এ) ও তাঁর পুত্র ভাষা সৈনিক আঃ কুদ্দুস বোকাইনগরীর নাম ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারী ভাষাসৈনিক হাতেম আলী মিয়া, ভাষা সৈনিক খালেদুজ্জামান ও ভাষাসৈনিক আঃ কুদ্দুস বোকাইনগরীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।পরে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগ করে তাঁরা মুক্তি পান।
মৌলভী আবদুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী ছিলেন নিবেদিত প্রাণ এক সমাজ হিতৈষী,ভাষা সৈনিক, তৎকালীন বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, (১৯৩৭-১৯৪৭),পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য(১৯৪৭ -১৯৫৪) ভাষা আন্দোলনের সময় তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলার জয়সিধ গ্রামে ১৮৭৫ সালে জন্ম গ্রহন করেন।পূর্বধলা খালিশাপুর প্রাইমারী স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।পরে তিনি মদনপুর মাদ্রাসা আরবীতে লেখাপড়া করেন।১৮৯৮ সালে গ্রামে স্কুলে শিক্ষাকতা যোগ দেন।পরে তিনি চলে আসেন গৌরীপুর উপজেলা অষ্টঘর প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষাকতার পাশাপাশি হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া মাজারের কাছে একটি মক্তবে পড়াতেন। ১৯১০ সনে বোকাইনগর ফকির বাড়িতে শাহ আবাল উদ্দিনের কনিষ্ঠা কন্যা সফুরা খাতুনকে বিয়ে করেন। বোকাইনগরবাসী ওনার বিভিন্ন গুণাবলীতে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে সন্মানের সাথে “বোকাইনগরী ” উপাধি প্রদান করেন। পরবর্তিতে বোকাইনগরকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তুলতে নিজের নামের সঙ্গে তিনি বোকাইনগরী সংযুক্ত করেন ও সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন। আজীবন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক মৌলভী আবদুল ওয়াাহেদ বোকাইনগরী অন্য অনেক রাজনীতিবিদের মত মুসলিম লীগ মুখো না হয়ে গান্ধীজির সঙ্গে সুসম্পর্ক বহাল রেখেই ১৯০৫ সালে যোগ দেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টিতে। মহাত্মা গান্ধীর সাথে ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। গান্ধীজি তাঁকে চিনতেন তুখোর নেতা হিসাবে। একাদিকবার তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে বোকাইনগরী সাহেবের। মহাত্মা গান্ধীর সাথে গ্রুফ ছবিও ছিল। পরে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তিনি সু-বক্তা হিসাবে সুখ্যতি অর্জন করেন। বক্ততায় তিনি গ্রাম্য প্রবাদ বাক্য ব্যবহার করতেন। যার ফলে বাংলা ব্যকরণে অঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগে”বোকাইনগরী সাইব বিলাত গেছলাইন “উদাহরণ হিসাবে লিপিবদ্ধ ছিল।কলকাতার এসেম্বলিতে মৌলভী আব্দুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৪৫ সালে মন্ত্রী স্যার নাজিমুদ্দিনকে নিয়ে সমালোচনায় কবিতার ছন্দ লাগিয়ে বলেছিলেন -হতভাগ্য বাংলার, উজিরে আজম/ ঢাকার উপখাজা স্যার নাজিম/শ্যামার চরণে হইয়া বঞ্চিত/তুলসী চরণ করিলা সার/তারকনাথের তারেকেশ্বরে পিন্ডি দিতে গিয়েপেয়ে বরদারে/মন্ত্রীত্বের গদি পেলা উপহার।
“১৯৩৭ সনে ৯ সেপ্টেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় অধিবেশনহাউজ অব কলকাতা এসেম্বলিতে বিরোধী কোয়ালিশন থেকে সরকারের সমালোচনায় মৌলভী আব্দুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী সাহেব এরবাংলা বক্তব্য – জনাব স্পিকার, আপনার অনুমতি নিয়ে আমি অনুরোধ করছি যে সিভিল জাস্টিস কমিটির সুপারিশ অনুসারে প্রক্রিয়া-সার্ভারগুলির বেতন বৃদ্ধির জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, স্যার আমি আমার এই সিদ্ধারেÍর উপর সংক্ষিপ্তভাবে চিন্তা করার প্রস্তাব করছি। নিঃস্বদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করা, দুষ্টদের শাস্তি দেওয়া এবং আইন-কানুন রক্ষা করা প্রতিটি সভ্য সরকারের নীতি অনুসরণ করে। কিন্তু আমার মতে, সরকার সেই বৃহত্তর কৃতিত্বের দাবিদার যা একজন মানুষ কেন দুষ্ট হয় বা কেন তার চরিত্র হারায় তা সতর্কতার সাথে তদন্ত করে এবং তারপরে দুষ্টকে ভদ্র, খারাপকে ভালো এবং খারাপ চরিত্রকে ভালোতে রূপান্তর করার জন্য প্রতিকার ১১ a Slues (নিপীড়নমূলক নয়) অবলম্বন করে। আমাদের বর্তমান সরকারের তার নির্দেশে একটি পদক্ষেপ তার পরিস্থিতিতে সবচেযয়ে উপযুক্ত হবে। সিভিল জাস্টিস কমিটি প্রক্রিয়া-সার্ভারদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষে জোরালো সুপারিশ করেছে। আশা করি মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী সেই সুপারিশগুলো কার্যকর করার জন্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবেন না।
১৯২৯ সালে প্রজা সমিতির প্রতিষ্টাতা সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী। ১৯৫৭ সনে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন সভায় যোগদান করে বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট আইনজীবি, রাজনৈতিক আবুল মনসুর আহমেদ বলেন-“১৯৩৬ কি১৯৩৭ সালের জানুয়ারী মাসে ঈশ্বরগঞ্জ থানার জারিয়া হাইস্কুল খেলার মাঠে আমার সভাপতিত্বে বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে গরীব প্রজা কর্মী আবদুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী ও খান বাহাদুর নরুল আমিনের মত প্রভাবশালীর প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদন্দিতা। উক্ত সভায় গোলকপুরের জমিদার মহাত্মা গান্ধীর ভক্ত অতিশয় বিনয়ী শ্রীযুক্ত সতেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী বক্তৃতা করেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করেন।সাবেক আওয়ামী লীগ, মসলিম লীগ ও কৃষক শ্রমিক পার্টির যৌথ উদ্যোগে ১৯৬৩ সালের ২৮ এপ্রিল ১৪ বৈশাখ গৌরীপুর বাজার ময়দানে বিকাল ৩ টায় অগণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র ও বদ্ধিতে খাজনা,কর হ্রাস ও খাদ্যের দাবীতে আইয়ুব শাহীর দমননীতির বিরুদ্ধে এক বিশাল জনসভায় অনুষ্টিত হয়।
জিলা কৃষক প্রজা পার্টির সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তৃা হিসাবে ময়মনসিংহ জিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেছিলেন। বক্তৃতা করেছিলেন সাবেক সাধারন সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ রফিক উদ্দিন ভূইয়া, মুসলিম লীগের সাবেক সভাপতিপ্রাক্তন পার্লামেন্ট সেক্রটারী আকবর আলী উকিল, সাধারন সম্পাদক আবদুল হামিদ এমপি,আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জমশেদ আলী,খালেদুজ্জামান,সাবেক সাধারন সম্পাদক হাতেম আলী মিয়া এমপি এ,সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক মুসলিম লীগের সাবেক সদস্য ডাক্তার বদর উদ্দিন,আওযামী লীগের সাবেক সদস্য ছফির উদ্দিন। প্রচারে ছিলেন মোঃ ইউনুছ মিয়া, আবদুল ওয়াহেদ বেগ, মোঃ সুলতান উদ্দিন তালুকদার।কৃষক নেতা হিসাবে কংগ্রেস দলীয় টিকেটে লঙ্গল মার্কায় বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়ে কলকাতার এসেম্বলির সদস্য লাভ করেন। ঐ এসেম্বলির বাংলা বক্তব্য নিষিদ্ধ ছিল। সে কারনে তিনি অধিবেশনে বাংলায় বক্ততা দিতে শুরু করলে স্পিকার তাঁকে বাংলা বক্তৃতা দিতে নিষেধ করেন।কিন্তু তিনি তা অগ্রাজ্য করে বাংলাতেই পুরো বক্তব্য দেন।
এসেম্বলিতে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেবার অধিকার নিয়ে তিনি আন্দোলন শুরু করলে কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁর আন্দোলনে স্বতস্ফুর্ত সাড়া দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়।এ সময় তিনি কলকাতার গড়ের মাঠ বিশাল জনসভায় বাংলা ভাষার সপক্ষে বক্তব্য রেখে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিলেন। কলকাতায় বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করে জনমত গঠন করে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিবার অধিকার আদায় করেন।তা ছাড়া তিনি এসেম্বলিতে জনগণের পক্ষে বহু বক্তব্য রাখেন।সদানন্দ মাঠে রাজনৈতিক জনসভায় বক্তব্য রেখে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
১৯৫৪ সালে রাজনৈতিক নূরুল আমিন সাহেবকে নির্বাচনে পরাজিত করে আওয়ামী মুসলিম লীগ(যুক্তফ্রন্ট) থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের(এমএলএ) সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৫৪ সালে মার্চ মাসে শেরে বাংলা একে ফজলুর হক যখন কৃষক প্রজা পার্টিতে যোগদান করেন,তখন বোকাইনগরী সাহেবই শেরে বাংলাকে আমৃত্য কৃষক প্রজা পার্টিতে থাকার অনুরোধ করেছিলেন। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বোকাইনগরীর রাজনৈতিক একনিষ্ঠতা দেখে মুগ্ধ হয়ে ভূয়সি প্রসংসা করতেন।১৯৫৮ সালে আইয়ব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন সভায় যোগদান করে বক্তব্য রাখেন। অল ইন্ডিয়া গণতন্ত্র মঞ্চে তাঁর ইতিহাস রয়েছে।
প্রখ্যাত আইনজীবি, সাহিত্যিক রাজনৈতিক আবুল মনসুর আহমেদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল ও তাঁর লেখা “আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর “, স্মৃতি অমলিন, ড. মাজহারুল ইসলাম ” আমি স্মৃতি আমি ইতিহাস” প্রখ্যাত রাজনৈতিক কমরেড মনি সিংহ এর “আমার জীবন সংগ্রাম”,গ্রন্থে তার বিষয়ে বিস্তর রেখালেখি হয়েছে। তা ছাড়া কলকাতা প্রকাশিত বাংলার চাষী, ১৯৪৪ সনে প্রকাশিত Encyelopedia of pakistin গ্রন্থে ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত দৈনিক সংবাদ প্রত্রিকায় উপ সম্পাদকীয়,কাজী এম এ মোনায়েম এর “গৌরীপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য কিংবদন্তি “, আনোয়ার হোসেন শাহীন এর “গৌরবগাথা গৌরীপুর”সহ বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় জার্নালে গৌরীপুরের কৃতি পুরুষ, বিশিষ্ট কুষক নেতা, সমাজ সেবক মৌলভী আবদুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী সাহেবের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। কেবল রাজনীতির ক্ষেত্রেই নয়,ধর্মীয়, মানবিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজের প্রথম গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। নারী শিক্ষা ও উচ্চতর শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষে গৌরীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ছিলেন গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এছাড়াও ছিলেন নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতির সদস্য। ৩ নভেম্বর ১৯৬৭ সালে বাংলা ১৬ কার্তিক সমাজহিতৈষী ও বিদ্যোৎসাহী প্রথিতযশা এই মহান নেতা মৌলভী আব্দুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী (এম এল এ) ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। উপজেলার নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাতুল হাসান বোকাইনগরী সাহেবের কবর জিয়ারতের করে নিজেও সন্মানিত হয়েছেন। সে দিন তিনি যে প্রতিশ্রুতির দিয়েছেন তা সম্পাদন বা বাস্তবায়ন করার মধ্যদিয়ে কিংবদন্তীতুল্য কৃতি পুরুষ ভাষা বীর আবদুল ওয়াহেদ বোকাইনগরী (এম এল এ)কে যথযত মুল্যায়ন সন্মান করা হবে। সেই সাথে আপনাকেও গৌরীপুর বাসী শ্রদ্ধা ভালবাসায় মনে রাখবে সুদীর্ঘ কাল।
লেখকঃ সাবেক সাধারন সম্পাদক গৌরীপুর প্রেস ক্লাব।