প্রবল বৃষ্টির ফলে সিরাজগঞ্জের ফুলজোর নদীতে ভাঙ্গন; ৩ টি বাড়িসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন
আমিনুল ইসলাম হিরো,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
প্রবল বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির ফলে উল্লাপাড়ায় ফুলজোর নদীতে আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ৩ দিনে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বন্যাকান্দি খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভাঙ্গনের ফলে ৩ টি বাড়ি এবং প্রায় ১২ বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরো ৮/১০ টি বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। বসতভিটে ভেঙ্গে যাবার ফলে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। অনেকেই ভয়ে আতংকে ঘরবাড়ী ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
ভাঙ্গন কবলিত বন্যাকান্দি গ্রামের হাফিজুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, ছরিয়ার সরকার জানান, প্রবল বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির ফলে তিনদিন আগে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়। ভাঙ্গনের ফলে গত শুক্রবার রাতে তাদের বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ না করা হলে আরো ৮/১০ টি বাড়ি এবং ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বাড়ি ভেঙ্গে যাবার ফলে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন তারা।
বন্যাকান্দি গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত এলাকার আব্দুল মজিদ, আব্দুস সালাম, লিলি বেগম জানান, তাদের বাড়ি বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রবল ভাঙ্গনের ফলে রাতে তারা ঘুমাতেও পারছেন না। বেশ হুমকির মধ্যে পড়েছেন তারা। বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তাদের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে তারা অনুরোধ জানান।
পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তিনি শুক্রবার সকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। আরো ৮/১০ টি বাড়ি হুমকির মধ্যে রয়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জ অফিসে এব্যাপারে কথা বলে দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের উল্লাপাড়া অঞ্চলের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বন্যাকান্দি গ্রামের খেয়াঘাট সংলগ্ন ভাঙ্গনের বিষয়টি জেনেছি। সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙ্গন রোধে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।