জাতীয়

ফুলপুরে পাহাড়ি ঢলে ভোগাই কংস নদীর পানিতে ভাটপাড়া বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত;নিহত ১

ফুলপুর থেকে বিল্লাল হোসাইনঃ গত দুই দিনের প্রবল বর্ষণে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেল্লাখালি,কর্ণজোড়া ,ধনাকুশা,মালিঝি,কংস ভোগাই এই ছয়টি পাহাড়ি নদীর ঢলে ভেঙ্গে গেছে ভাটপাড়া বেরিবাদ। শাশুড়িকে বন্যার জল থেকে উদ্ধার করে নেওয়ার সময় জামাতার মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটে আজ সকাল ৭ টার সময়। নকলা উপজেলার জামালপুর গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র উজ্জল মিয়া (৩৫) ফুলপুর উপজেলার চিকনা গ্রাম থেকে পানিবন্দী শাশুড়িকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা এলাকায় যাওয়ার পথে শাশুড়ি পানিতে পড়ে যায়। শাশুড়িকে উদ্ধার করে হাতে তুলে দেওয়ার পর উজ্জল মিয়া পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। ফুলপুরের ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স টিম উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকাল চারটার সময় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে ফুলপুর পৌরসভার সহ ২০ টি গ্রাম। তলিয়ে গেছে আমন আবাদি ফসলি জমি। বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে অসংখ্য গৃহপালিত পশু গরু-ছাগল বেড়া হাঁস মুরগি। তলিয়ে গেছে মাছের গের ফিশারি, অসংখ্য পুকুর। ভেঙ্গে গেছে বিভিন্ন পাকা রাস্তা এবং কাঁচা রাস্তা। কংস এবং ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ১নং ছনধরা ইউনিয়ন,৪ নং সিংহেশ্বর ইউনিয়ন,৫ নং ফুলপুর সদর ইউনিয়ন, ৮ নং রূপসী ইউনিয়ন ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন বাঁশাটি উচ্চ বিদ্যালয় ও সিংহেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যা কবলিত আশ্রয়হীন মানুষের জন্য দুইটি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে। ফুলপুরের কংস ভোগাই,মালিঝি,খড়িয়া নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ময়মনসিংহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদী খননের বরাদ্দ দিলেও সঠিক নিয়মে নদী খনন করা হয়নি। যার ফলে ভাইরাখালি ব্রিজের পর থেকে পানি প্রবাহ বাধা প্রাপ্ত হওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল।