ফুলবাড়িয়ায় পলাতক আসামী ইউপি চেয়ারম্যান পুলু গ্রেফতার
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদে ৩নং কুশমাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতিন পুলুকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় নেতারা টেনে হিচড়ে লাঞ্ছিত করেছেন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সভা চলাকালীন যোহরের নামাজের বিরতি চলছিল। এমনসময় দ্বিতীয় তলা হতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতিন পুলু সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তার গতিরোধ করে কেচি গেইট লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় টানাটানি। উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে এসে চেয়ারম্যান বসে পড়লে তার গায়ের ছিঁড়া পাঞ্জাবিটা খোলা হয়। এমন একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় কয়েকজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দিয়ে পরিষদের বারান্দা থেকে বের করছেন।
এ সময় পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের সদস্য হুমায়ুন কবীর, কুশমাইল ইউনিয়ন যুবদল নেতা ছাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। টিশার্ট পড়া একজন চেয়ারম্যানকে সেইভ করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের দায়িতে থাকা আনসার সদস্যরা এগিয়ে আসেন।এরপর চেয়ারম্যানকে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম বিষয়টি থানাকে অবগত করেন। থানা পুলিশের সদস্যরা এসে ইউ,পি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতিন পুলুকে নিয়ে যান।
অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদে টিআর, কাবিখা ও ভিজিএফ বরাদ্দে চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব নজরুল ইসলাম খান এর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে গত ঈদুল ফিতরের ভিজিএফ বিতরণে বরাদ্দের অর্ধেক কার্ড কালোবাজারের হাতে বিক্রি করে দেওয়ার পর অভিযোগ রয়েছে ইউপি সচিব নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, আব্দুল বাতিন পুলু থানা ভাংচুরের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী। গণধোলাইয়ের শিকার ঐ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব এজাহারভুক্ত আসামী থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।