বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ-সুনন্দা সরকার প্রমা
আনোয়ার হোসেন শাহীনঃ ‘বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা সকলে মিলেমিশে এই দিনটিকে আনন্দ ও উৎসাহের সাথে উদযাপন করতে চাই। এ ব্যাপারে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোরসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি যাতে এবারের উদযাপনও সুন্দর ও সফল হয়। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার প্রমা উল্লেখিত কথাগুলো বলেন।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভায় বুধবার (৯ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কমল কুমার রায়ের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাদত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো তোফাজ্জল হোসেন,গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ বিপ্লব,গৌরীপুর সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম এর সভাপতি মোঃ শাহজাহান কবির হিরা, গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. রাকিবুল হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাল উদ্দিন, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান, উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক মোঃ ছাইফুল ইসলাম, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূপুর রাণী ভট্টাচার্য, গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক ঝিন্টু দেবনাথ, উপজেলা আনসার ও বিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা ফরিদা পারভীন, ছাত্র প্রতিনিধি মো. শিমুল মিয়া প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সভায় জানানো হয়, আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ সকাল দশটায় উপজেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং সাড়ে দশটায় বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।