অন্যান্যঅর্থনীতিকৃষি ও শিল্পজাতীয়

বিশ দিন পার হয়ে গেলেও ডিসির নির্দেশের ব্যবস্থা নেননি ইউএনও

স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মানছেন না নান্দাইল উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোছা: সারমিনা সাত্তার। গত ২০ দিন পূর্বে নান্দাইলে সওজের জায়গায় অবৈধ গরুর হাট বসানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিসির নির্দেশের তোয়াক্কাই করছেন না ইউএনও। ডিসি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও তিনি থোড়াই কেয়ার করে ব্যবস্থা নেননি। আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নান্দাইল ইউএনও এর বরাবর ময়মনসিংহ রেভিনিউ ডিপুটি কালেক্টর মোঃ সাব্বির হোসেন স্বাক্ষরিত ৭ জানুয়ারি ইং তারিখে ০৫.৪৫.৬১০০.০২৪.২৫.০৪০০.১৯-৮৯ নং স্মারকের চিঠি ইস্যু করে। কিন্তু ইউএনও ব্যবস্থা না নেয়ায় জেলা প্রশাসক সরাসরি এনডিসির মাধ্যমে কল করে ব্যবস্থা নিতে বললেও তিনি তা মানেন নি। এখন পর্যন্ত অবৈধ গরুর হাট বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।

সূত্র জানায়,উক্ত হাট থেকে একটা মোটা অঙ্কের টাকা প্রশাসনে ভাগাভাগি হয়। এ নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। জানা যায়, ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম চৌরাস্তায় গরুর বাজারটি কোন ফেরিপেরিভূক্ত বাজার অথবা সরকারি হাটবাজারের কোনো জায়গার স্বীকৃতি না থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি বৃহস্পতিবার বাজারটি বসে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বারুইগ্রাম চৌরাস্তায় গরুর বাজার থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরেই বাঁশহাটি বাজার যা জেলা প্রশাসন কর্তৃক ১৯৯৫-৯৬ সনের ফেরিপেরিভুক্ত ও অনুমোদনকৃত বাজার। সেই বাজারটিকে ইজারা ডাকের আওতায় না এনে বন্ধ করে দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিতে এবং স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট দল নিজেদের পকেট ভারী করতে অবৈধভাবে বারুইগ্রাম চৌরাস্তায় গরুর বাজারটি বসায়। এতে করে যান চলাচলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি উক্ত স্থানে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।

এ নিয়ে স্থানীয়দের রয়েছে নানা অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে সরকারী হাট থাকতেও এখানে কেন হাট বসানো হচ্ছে। এত কার লাভ তা খতিয়ে দেখলেই বের হয়ে আসবে। জেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ গরুর হাটটি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন বর্তমান ইউএনও সারমিনা সাত্তার। ঠিক একইভাবে সাবেক ইউএনও অনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে অবৈধ হাটের বিষয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেন নি।

বিশ দিন পার হয়ে গেছে এ বিষয়ে আপনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও সারমিনা সাত্তার কয়েক সেকেন্ড সময় নেন। প্রতিবেদক জিজ্ঞেস করেন,জেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ গরুর হাট বন্ধে কোন চিঠি পেয়েছেন কি? এসময় ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন,আমাদের অফিস চিঠি পেয়েছে। চিঠি অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।

প্রশাসনের উদ্যোগ বাড়িয়ে অবৈধ গরুর হাট বন্ধ করে সরকারি হাট চালু করার দাবি জানান স্থানীয়রা।