অন্যান্যজাতীয়শিক্ষা ও সংস্কৃতি

বুদ্ধিজীবি দিবসে বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ বাস্তবায়নের দাবী সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের

১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পার্কের অরক্ষিত অবহেলিত বধ্যভূমি স্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালন করে গণসাংস্কৃতিক সংগঠন সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ।

মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালনকালে সংগঠকবৃন্দ বলেন, শুধু দিবস পালনের মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে আজ অতীব জরুরী মুক্তিযুদ্ধের স্মারকগুলো দৃশ্যমান রাখা। যাতে প্রজন্ম জানতে পারবে তাদের পূর্বপূরুষদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রান্ত হলেও আজও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের বর্বরতার সাক্ষী শতশত বধ্যভূমি সারাদেশে অবহেলিত অরক্ষিত অবস্থায় অযত্নে পড়ে রয়েছে। দখল বেদখল হয়ে যাচ্ছে বধ্যভূমির ঐতিহাসিক স্থানগুলো। ফলে প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে ইতিহাসের দৃশ্যমান অধ্যয়ন থেকে।

সংগঠকবৃন্দ আরও বলেন, সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের ধারাবাহিক কর্মতৎপরতার ফলে গত তিন বছর যাবত বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যে স্মারক চালাচালি হলেও দাপ্তরিক দীর্ঘসূত্রতায় বধ্যভূমিটিতে আজও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। গত এপ্রিল ২০২৩ মাসে জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহ কর্তৃক সংশোধিত ও চাক্ষুশ নকশাসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রকল্প পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলেও আজও বধ্যভূমিস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। বর্তমানে প্রাক্কলনসহ সকল নথিপত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষযক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকের নিকট রয়েছে। সরকার কর্তৃক বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প চলমান রাখা হয়েছে এবং অর্থ বরাদ্দ আছে। অথচ প্রাক্কলন ও নকশা অনুমোদনপূর্বক কার্যক্রম গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সংগঠকবৃন্দ ।

তারা ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পার্কের অরক্ষিত বধ্যভূমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রাক্কলন ও নকশা অনুমোদন করে ত্বরিত কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *