অন্যান্যঅর্থনীতিআন্তর্জাতিকজাতীয়

ব্রয়লার উৎপাদন বেড়েছে, তবু আমদানি নির্ভরতা রয়ে গেছে’- বাকৃবির অধ্যাপক

বাকৃবি প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের ব্রয়লার পালনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘খামারিরা খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। পৃথিবীতে যতদিন মানুষ থাকবে, ততদিনই খাদ্য উৎপাদনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ব্রয়লারের গ্র্যান্ড প্যারেন্ট স্টক ও প্যারেন্ট স্টক বিদেশ থেকে আমাদের দেশে আমদানি করতে হয়। বিদেশি কোম্পানিগুলো কোন প্রজনন পদ্ধতিতে এগুলো তৈরি করেছে, সেটা কখনোই প্রকাশ করে না। এজন্যই আমরা তাদের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে আছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘একসময় এক কেজি ওজনের মুরগি উৎপাদনে প্রায় এক বছর সময় লাগত। আর এখন ৩০ দিনেই একটি মুরগির ওজন দেড় কেজির বেশি হয়। অন্যদিকে, এমন লেয়ার আছে, যেগুলো বছরে ৩২০টির বেশি ডিম দেয়। এই উন্নতির পেছনে পোল্ট্রি বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও মানু ফার্মসের সহযোগিতায় বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের কনফারেন্স হলে ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। এ সময় প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুবাস চন্দ্র দাস।

এসময় পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির রিসার্চ সেন্টার (বাউরেস)-এর পরিচালক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান, ময়মনসিংহ শাখার মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং মানু ফার্মসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুহাম্মদ শাহীন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি প্রফেসর ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রায় ৩০ জন খামারি, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা।