ময়মনসিংহে জিদনি নামের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলী এলাকায় গত ৬ জুন রাতে রহস্যজনকভাবে এক বিবাহিত তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর মেয়ে তায়েবাতুন জিদনী। ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজে সমাজ কর্ম বিভাগে ৪র্থ বর্ষে পড়তো। থাকতো ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি মসজিদ রোড এলাকার নাসা টাওয়ারের হোষ্টেলে। গত ৬ জুন হোষ্টেলে থাকাকালীন সময়ে তাঁর অপমৃত্যু হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে করছে।
পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, জানালার পাশে খাটের উপরে হাটু পেছন দিকে ভাঁজ করা এবং একটি ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচানো ছিল সেই সাথে জিহবা বের করা অবস্থায় পাওয়া যায়। যেটাতে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এর কারণ বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৭ জুন জিদনির মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে জিদনির স্বামী ইয়াসির আরাফাত ৪ মাস যাবত থাকেন ফ্রান্সে। তিনি দাবি করছেন তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। কারা করেছে কিংবা কাউকে সন্দেহ করেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি জানান, নির্দিষ্ট কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না। তবে সে কারো লালসার শিকার হতে পারে। যেখানে থাকতো জিদনি সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরা, দারোয়ান ও কেয়ারটেকারকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয়ে আসতে পারে। যেদিন রাত্রে জিদনি মারা যায় সেদিন রাত্রেই কথা হয়েছিল জিদনীর সাথে। খুব স্বাভাবিক ছিল,হাসিখুশি ছিল। জিদনির স্বামী ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলাম ধর্মের বাইরে ভিন্নমত লালন করেন। এ নিয়ে জিদনীর কোন ক্ষোভের বিষয় ছিল কি না প্রশ্নে তিনি জানান, জিদনী আমার এ ভিন্নমতকে সাপোর্ট করতো।
অন্যদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিদনীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ থানায় জানানো হয় নি অথবা মামলা করা হয় নি। জিদনির মা জানান, জিদনি খুব ভালো মেয়ে। তবে সে মাঝে মাঝে ডিপ্রেশনে থাকতো। কি থেকে কি হয়ে গেল!রিপোর্ট আসলে পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রহস্যজনক এ মৃত্যুর আলামত হিসেবে পুলিশের কাছে মৃত জিদনির মোবাইল সেট আছে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্টসহ মোবাইল সেট থেকে অনেক ক্ল্যু পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে জিদনির পরিবারকে। জিদনির স্বামী জিদনির এ রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনকে।