ময়মনসিংহে ভাতিজা হত্যার প্রধান আসামি চাচাসহ তার ছেলে পিবিআই’র হাতে গ্রেফতার
মাত্র ১৮ ঘন্টার মধ্যে চাচার হাতে নিহত ভাতিজা নুরুল ইসলাম পাঠান (৫৫) এর নৃশংস খুনের প্রধান আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করল পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা।
গতকাল ০৭/১১/২০২২ তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৪৫ ঘটিকায় ফুলপুর থানাধীন বনোয়াকান্দা গ্রামে ভিকটিম নুরুল ইসলাম পাঠান এর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ভিকটিম নুরুল ইসলাম পাঠান, আসামী আজমান আলী পাঠানের বাড়ীর উত্তর পাশে নিজের জমিতে কাজ করছিলেন। তখন এজাহারনামীয় ১নং আসামী আজমান আলী পাঠান ও ২নং আসামী, তদীয় পুত্র মুঞ্জুরুল হক অস্ত্র-সস্ত্রসহ অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নুরুল ইসলাম পাঠানকে মারপিট করে তার হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় মর্মে জানা যায়। সম্পর্কে নিহত নুরুল, আসামী আজমান এর ভাতিজা। মাত্র ১৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস এই হত্যাকান্ডের মূল আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা।
অ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই, ময়মনসিংহ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আক্তার এর সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার চৌকস টিম উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আক্তার এর দিক নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে পিবিআই ময়মনসিংহ টিম ছায়া তদন্তকালে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অদ্য ০৮/১১/২০২২ খ্রিঃ সকাল ০৭.০০ ঘটিকার সময় হত্যাকান্ডের প্রধান আসামীদ্বয় ১। মোঃ আজমান আলী পাঠান ও ২। মোঃ মুঞ্জুরুল হককে গাজীপুর শহর হতে গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনায় ফুলপুর থানায় ডিসিস্টের ছেলে মাহমুদুল হাসান পাঠান বাদী হয়ে ০৬ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে ফুলপুর থানার মামলা নং-১৫, তাং-০৮/১১/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/ ৩২৩/৩০৭/৩০২/৫০৬/৩৪ দঃ বিঃ রুজু হয়।
এ বিষয়ে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার এসপি মোঃ রকিবুল আক্তার বলেন, পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যাকান্ডের মূল আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করেছে। এজাহারনামীয় অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে মামলাটি পিবিআই কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার সকল অফিসার ও ফোর্সের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়, পিবিআই গাজীপুর ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের সহযোগিতায় মাত্র ১৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস এই হত্যাকান্ডের মূল আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি