ময়মনসিংহে রামকৃষ্ণ মিশনে উৎসব মুখর পরিবেশে কুমারী পূজা অনুিষ্ঠত
স্টাফ রিপোর্টার ঃ উৎসব মূখর পরিবেশে রবিবার (২২ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহা-অষ্টমী ও কুমারী পূজা। এদিন মন্ডপে মন্ডপে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভীড়। মহা-অষ্টমী পূজা শেষে মন্ডপে মন্ডপে অঞ্জলী প্রদান, চন্ডীগ্রন্থ পাঠ, প্রার্থনা ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এদিন সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নগরীর অন্যান্য মন্দিরেও মহা অষ্টমী বিহিত পূজা উৎসব মূখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমারী হচ্ছে এক বালিকার মধ্যে শুদ্ধাত্মা নারীর রূপ চিন্তা করে সনাতনধর্মীরা তাকে ‘দেবী’ জ্ঞানে পূজা করেন। শ্র্রীরামকৃষ্ণের কথামৃতে বলা আছে-‘সব স্ত্রীলোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর প্রকাশ। ৫ থেকে ১২ বছরের বালিকাকে সাজানো হয় কুমারী মাতৃকারূপে। মাতৃকাশক্তির বীজরূপা হচ্ছে বালিকা। পুণ্যার্থীরা কুমারী মায়ের সামনে প্রার্থনায় সমবেত হন। সব নারীতে মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার লক্ষ্য।
এদিন সকালে নির্দিষ্ট কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। ফুলের মালা চন্দন ও নানা অলঙ্কার-প্রসাধন উপাচারে সাজানো হয় কুমারীকে। এবারের কুমারী ছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর সিটি কর্পোরেশন সংলগ্ন হরি কিশোর রায় রোডের ঝন্টু দেবনাথ ও দীপা রানী দেবীর মেয়ে শ্রীমতি অপরাজিতা ঝিনুক দেবনাথ পূর্না (১০)। সে ৩য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। রামকৃষ্ণ মিশনে পূজার প্রধান পুরোহিত ছিলেন শ্রী সমর রঞ্জন চক্রবর্তী, তন্ত্রধারক ছিলেন ব্রহ্মচারী গুঞ্জন। অঞ্জলী মন্ত্র পাঠ করান রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী সন্ততানন্দ মহারাজ।
এবছর ময়মনসিংহ জেলায় ৮৩৫টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন সকালে রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা পরিদর্শনে আসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।